সস্ত্রীক এজাজ। নিজস্ব চিত্র
দেশ জুড়ে করোনা ভাইরাসের মোকাবিলায় মাসখানেকের উপর লকডাউন চলায় বহরমপুর থেকে আর বাড়ি ফিরতে পারেননি কাশ্মীরের জনা পনেরো যুবক। শহরের ভাড়া বাড়িতে ঘরবন্দি হয়ে আছেন তাঁরা। একদিকে গরম আবহাওয়া অন্য দিকে উপার্জিত অর্থ শেষ হয়ে আসায় দুঃশ্চিন্তায় দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা।
প্রত্যেক বছর এঁরা পুজোর পর কাশ্মীরের শ্রীনগর থেকে শীতের বস্ত্র বিক্রি করতে জেলায় আসেন। গত তিরিশ, চল্লিশ বছরে তার কোন পরিবর্তন হয় নি। এই বছরেও শ্রীনগর থেকে জনা ৪০ যুবক শীতবস্ত্র বিক্রি করতে বহরমপুরে এসেছিলেন। দীর্ঘ দিন ধরে শহরে ব্যবসার কাজে আসায় পরিচিত লোকের অভাব নেই। তাঁদের কাছেই ঘরভাড়া, দোকান ভাড়া নিয়ে তারা ছ’মাস ধরে কখনও দোকানে, কখনও বাড়ি বাড়ি ঘুরে শীতবস্ত্র বিক্রি করেন ধারে ও নগদে। যাঁরা ধারে শীতের পোশাক কেনেন তাঁরা মার্চ মাসের মধ্যে সেই টাকা পরিশোধ করবেন এই শর্তেই তাদের কিস্তিতে শীতের পোশাক বিক্রি করেন এই ব্যবসায়ীরা। ফলে কিস্তির সেই টাকা আদায় করতে বেশিরভাগ সময় মার্চ মাস পার হয়ে যায় তাদের। তাই মার্চ মাসের শেষের দিকে, না হয় এপ্রিলের শুরুতে তাঁরা কাশ্মীর ফেরেন। এ বছর লকডাউনে আটকে পড়েছেন। তাঁদের এক জন ফারুক আহমেদ বলেন, “শীতবস্ত্র বিক্রি করে যা লাভ হয় তাই দিয়ে আগামী ছয় মাস আমাদের সংসার চলে। ফলে ওই টাকা ফেলে রেখে যাব কী করে?” এজাজ আহমেদ বলেন, “অনেকে টাকা দিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু এখানেই খরচ হয়ে যাচ্ছে।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy