স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা। নিজস্ব চিত্র
গলায় ঝোলানো স্টেথোস্কোপ। ওই অবস্থাতেই বা রান্দা বরাবর সর্পিল লাইনটাকে সোজা করার চেষ্টা করছিলেন তিনি। ঘেঁষাঘেষি করে দাঁড়িয়ে থাকা রোগীদের নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখার কথা বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন ডোমকলের ভগীরথপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আতিকুর রহমান। দেশে করোনাভাইরাসের ছায়া যতই লম্বা হচ্ছে, ততই যেন ভিড় বাড়ছে গ্রামীণ এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেল, মাসখানেক আগেও ভগীরথপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সামান্য জ্বর-জারি, বা সর্দি কাশির সমস্যা নিয়েই কেবল রোগীরা আসতেন। রোগ এর চেয়ে জটিল বলে মনে হলে তাঁরা আর স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পা বাড়াতেন না। ছুটতেন ডোমকল মহকুমা হাসপাতাল কিংবা বহরমপুরে। গ্রামবাসীদের একাংশের অভিযোগ ছিল, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা সে ভাবে মেলে না। কিন্তু গত কয়েক দিনে অন্য অনেক গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মতো রাতারাতি বদলে গিয়েছে এখানকার চেহারাটাও। এখন জটিল সমস্যা নিয়েও রোগী আসছেন ভগীরথপুরে। রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক চারশোয়। স্থানীয়রা জানালেন, এর একটা কারণ লকডাউনের জেরে যানবাহন বন্ধ থাকা। তবে গত কয়েক দিনে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়মিত আনাগোনাও ভিড় বাড়ার অন্যতম কারণ। অবস্থা এমনই রোগীদের সামাল দিতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে চিকিৎসক মায় স্বাস্থ্যকর্মীদের। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আতিকুর রহমান বললেন, ‘‘শুধু কি রোগী দেখা! অনেক সময়েই লাইনে দাঁড়ানো লোকজন ভুলে যাচ্ছেন, এই সময়ে পারস্পরিক দূরত্ব বজায় রাখাটা কেন জরুরি। ঘেঁষাঘেঁষি করে কাউকে দাঁড়াতে দেখলেই তাই ছুটে গিয়ে বোঝাতে হচ্ছে।’’
ভগীরথপুর এলাকার তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯টি গ্রামের মানুষের কাছে এখন ‘ভরসা’ হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। পাশাপাশি, হরিহরপাড়ার অনেক রোগীও এখানে আসছেন। স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন হোমিয়োপ্যাথ-সহ মোট দু’জন চিকিৎসক রয়েছেন। আছেন দু’জন নার্স এবং এক ফার্মাসিস্ট। সকলে মিলেই সামলাচ্ছেন হাসপাতাল।
ডোমকলের অতিরিক্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (এসিওএমএইচ) মামুন রশিদ এ নিয়ে বলেন, ‘‘এটা ঠিক যে লকডাউনের ফলে অনেক রোগী মহকুমা হাসপাতাল বা বহরমপুরে যেতে পারছেন না। তবে পরিষেবায় জোর দেওয়ার জন্যও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ভিড়ও হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy