প্রতীকী ছবি।
প্রথম দিন করোনা প্রতিষেধক নিতে ইচ্ছুক করোনা যোদ্ধাদের নামের তালিকা তৈরি করতে শুরু করেছে নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতর।
শনিবার জেলার যে দশটি হাসপাতাল থেকে প্রতিষেধক দেওয়া শুরু হবে, প্রত্যেকটির নোডাল অফিসারকে ইচ্ছুক গ্রহীতাদের মধ্যে থেকে প্রথম ১০০ জনের তালিকা তৈরির ভার দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবারই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রহীতাদের সম্পূর্ণ তথ্য পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তালিকায় থাকা গ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে ইচ্ছুক ১০০ জনের তালিকা যত দ্রুত সম্ভব জেলা কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনিচ্ছুক কাউকে ‘কোভিশিল্ড’ ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে না বলে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবারই নদিয়ায় পৌঁছে গিয়েছে ৩৫৪০ ভায়াল ‘কোভিশিল্ড’। কৃষ্ণনগর মাতৃসদনে জেলা ভ্যাকসিন স্টোরে আইসলাইন রেফ্রিজারেটরে ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেন্টিগ্রে়ড তাপমাত্রায় রাখা সেগুলি মজুত রাখা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে পুলিশি প্রহরায় প্রতিষেধক পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, শেষ মুহূর্তে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশে সেই সিদ্ধান্ত বাতিল হয়। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১০টা থেকে স্বাস্থ্য ভবনের কর্তাদের সঙ্গে জেলা কর্তাদের ভিডিয়ো কনফারেন্স হয়। বৃহস্পতিবারের পরিবর্তে আজ, শুক্রবার থেকে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে প্রতিষেধক পৌঁছনোর কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দূরের কেন্দ্রগুলিতে শুক্রবার আর কাছের কেন্দ্রগুলিতে দিনের দিন অর্থাৎ শনিবার সকালে প্রতিষেধক পাঠানো হবে। কবে কোথায় তা পাঠানো হবে সেটা ঠিক করবেন জেলার কর্তারা।
তবে প্রতিষেধক সংরক্ষণ এবং সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রগুলিতে পাঠানোর পাশাপাশি গ্রহীতাদের তালিকা তৈরির কাজটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। কারণ তালিকায় নাম থাকা করোনা যোদ্ধাদের মধ্যে থেকে প্রতিষেধক নিতে ইচ্ছুকদের বেছে নিতে হচ্ছে। তালিকায় নাম থাকা কর্মী এ-ও জানাবেন যে তিনি তাঁর বাসস্থানের এলাকার কেন্দ্র থেকে প্রতিষেধক নেবেন নাকি কর্মক্ষেত্রের এলাকার কেন্দ্র থেকে নেবেন। আবার শুধু ইচ্ছুক হলেও চলবে না। এমনিতেই ১৮ বছরের কম বয়সিদের জন্য এই প্রতিষেধক নয়। কিন্তু তার চেয়ে বেশি বয়সিদের ক্ষেত্রেও অ্যালার্জি, জ্বর, সন্তানসম্ভাবনা, স্তন্যদানের মতো কিছু ক্ষেত্রে বাছবিচারের প্রয়োজন থাকতে পারে। ইচ্ছুক গ্রহীতা প্রতিষেধক নেওয়ার জন্য শারীরিক ভাবে প্রস্তুত কিনা তা দেখেই তালিকা চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্য দফতর সবত্রের খবর, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের প্রতিটি ভায়ালে ১০টি করে ডোজ় আছে। অর্থাৎ নদিয়ায় আসা ৩৫৪০টি ভায়ালে রয়েছে ৩৫ হাজার ৪০০ ডোজ়। তার মধ্যে ৪০০ নানা ভাবে নষ্ট হতে পারে ধরে নিয়ে ৩৫ হাজার ডোজ় দেওয়ার ব্যবস্থা হচ্ছে। প্রত্যেক গ্রহীতাকে ইঞ্জেকশন মারফত ০.৫ মিলিলিটারের দু’টি ডোজ় দেওয়ার কথা। সব কিছু ঠিকঠাক চললে ৪-৬ সপ্তাহের ফারাকে প্রত্যেক গ্রহীতা দ্বিতীয় ডোজ় পাবেন। সে কারণে ৩৫ হাজারের অর্ধেক অর্থাৎ সাড়ে ১৭ হাজার গ্রহীতাকে প্রথম ডোজ় দেওয়ার জন্য তালিকা তৈরি হচ্ছে। তাঁদের জন্য পরের ডোজ় সংরক্ষণ করে রাখা হবে। প্রতি দিনই সরকারি ক্ষেত্রে কাজ করা কর্মীদের পাশপাশি নার্সিংহোম বা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদেরও প্রতিষেধক দেওয়া হবে।
নদিয়া জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “কেবল মাত্র ইচ্ছুক এবং যোগ্যদেরই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখেই তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy