রাস্তা-জুড়ে: ডোমকলের সাহেবনগরে গুলিকাণ্ডের প্রতিবাদে রাজ্য সড়কের উপরে অবরোধ স্থানীয় মানুষের। ছবি: সাফিউল্লা ইসলাম।
উত্তপ্ত সাহেবনগর এখনও থমথমে। বুধবার সকালে সাহেবনগরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান দু’জন নিরীহ গ্রামবাসী। সেই ক্ষোভের রেশ এখনও গোটা এলাকা জুড়ে যে ভালই ছড়িয়ে রয়েছে তার প্রমাণ মিলল প্রায় পাঁচ কিলোমিটার লম্বা প্রতিবাদ মিছিলে। জুম্মাবারের নমাজের পরে সাহেবনগর মো়ড় থেকে শুরু হয় মিছিল।
শুক্রবার বেলা দু’টো নাগাদ মিছিলে দেখা গেল আনারুল বিশ্বাস ও সালাউদ্দিন শেখের পরিবার সহ বহু মানুষকে। ছিলেন এলাকার মহিলারা। ঠাকুর্দার কাঁধে চেপে মিছিলে যোগ দিয়েছিল একটি শিশুও। মিছিল প্রথমে যায় দু’কিলোমিটার দূরের ধনিরামপুরে। সেখান থেকে ফিরে আসে দেবীপুর মোড় পর্যন্ত। রাস্তায় মিছিলে লোক বেড়েছে। অনেকেই মিছিল যাচ্ছে শুনে দেখতে এসে মিছিলে যোগ দিয়ে হাঁটতে শুরু করেছেন। এমনিতে শান্ত ভাবেই রাজ্য সড়কের দুই সারি দিয়ে মিছিল হয়েছে। তবে মাঝেমধ্যেই ধ্বনি উঠেছে জোরে। মিছিলের প্রধান দাবি ছিল তহিরুদ্দিন ও স্থানীয় তৃণমূল নেতা মিল্টনকে গ্রেফতার করতে হবে। মিল্টন ওরফে শামিম আখতারুজ্জামান হলেন স্থানীয় সাহেবনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলের তমান্না ইয়াসমিনের স্বামী। বুধবার মিল্টন তহিরের সঙ্গেই অবরোধ তুলতে গিয়েছিলেন বলে দাবি। তার পরে বিক্ষোভের মুখে পড়ে মিল্টন বাড়িতে পালিয়ে আসেন বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সেই সময় মিল্টন ও তমান্নার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতেই গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন সালাউদ্দিন। তবে তহিরুদ্দিন ও মিল্টনের সঙ্গে এ দিনও কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। দু’জনেরই মোবাইল সুইচড্ অফ। মেসেজ করলেও কোনও উত্তর মেলেনি। তবে তমান্নার বক্তব্য, ‘‘সে দিন আমরা নিজেরাই খুব আতঙ্কে ছিলাম। বাইরে কী হয়েছে জানি না। আমার স্বামী সে দিন সকাল থেকেই বাড়ির বাইরে। এখনও ফেরেননি। তা হলে গুলি করার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে?’’
এলাকার বাসিন্দাদের ক্ষোভ কিন্তু সে কথায় মিটছে না। এ দিন দীর্ঘ মিছিলের পরে চারটে নাগাদ দেবীপুর মোড়ে বহরমপুর-সাগরপাড়া রাজ্য সড়ক ফের অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy