প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর বিবাদের জেরে ভাঙচুর হল গ্রাম পঞ্চায়েতে। শুক্রবার দুপুরে চাপড়া ১ পঞ্চায়েত অফিসে কম্পিউটার ও কর্মীদের ল্যাপটপ ভাঙচুর করা হয়। টেনে ফেলে দেওয়া হয় বাংলা আবাস যোজনার ফাইল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। এই ঘটনায় দুই পক্ষই চাপড়া থানায় পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি জেবের শেখ এবং বিধায়ক রুকবানুর রহমানের মধ্যে বিবাদ চলছে চাপড়ায়। তার জেরে গোটা ব্লকের নেতা-কর্মীরা প্রায় আড়াআড়ি বিভক্ত। চাপড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুপালী দাস ও তাঁর সঙ্গী সদস্যেরা জেবের-অনুগামী, উপপ্রধান জিয়ার মণ্ডল ও তাঁর পক্ষের সদস্যরা রুকবানুর শিবিরের লোক। দু’তরফের টক্কর চলছে প্রথম থেকেই। বাংলা আবাস যোজনার তালিকা প্রকাশ্যে আসার পর বিবাদ আরও চরম আকার নিয়েছে। খসড়া তালিকায় যাঁদের নাম আছে তাঁদের আধার কার্ড যুক্ত করার কাজ চলছে এখন। তা নিয়েই এ দিন অশান্তি শুরু হয় বলে অভিযোগ।
প্রধানের পক্ষের অভিযোগ, এ দিন উপপ্রধান লোকজন নিয়ে এসে তাঁর লোকেদের আধার কার্ড যুক্ত করার কাজ আগে করে দেওয়ার দাবি জানাতে থাকেন। রুপালীর দাবি, “ওরা আগেই নিজেদের লোকজনের আধার কার্ড যুক্ত করে নিয়েছে। এ দিন শুধু অশান্তি করতেই এসেছিল।” উপপ্রধান জিয়ার পাল্টা বলেন, “আমাদের অন্ধকারে রেখে প্রধান তাঁর লোকজন দিয়ে নিজের মতো করে কাজ করছেন। আমরা তার প্রতিবাদ করাতেই লোকজন দিয়ে আমাদের মারধর করাল। নিজেরাই ভাঙচুর করে এখন আমাদের নামে
দোষ দিচ্ছে।”
জেবের শেখের অভিযোগ, “শুধু ভাঙচুর করাই নয়, মহিলা প্রধানকে যে ভাষায় গালিগালাজ করেছে বিধায়কের লোকজন, তা মানা যায় না। আমি চাই, পুলিশ জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করুক, সে তারা যে দলেরই হোক না কেন।” আর রুকবানুরের পাল্টা, “ব্লক সভাপতি জেবের শেখ সমাজবিরোধীদের দিয়ে সর্বত্র সমস্যা তৈরি করছেন। ওই পঞ্চায়েতেও সেই একই ঘটনা ঘটেছে। আমি শীর্ষ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানাব।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy