প্রতীকী ছবি।
লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় গতি নেই বলে প্রায় প্রতি বছরই অভিযোগ ওঠে। পাড়ায় পাড়ায় পর্যাপ্ত শিবির না হওয়ায় চাষিদেরও কম দামে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে হয় বলে অভিযোগও ওঠে। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে বরাবরই এই চিত্র দেখা দেয়। কিন্তু এ বারে সেই চেনা ছবির কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে, তাঁরা লক্ষ্যমাত্রার থেকেও এ বছর বেশি ধান কিনেছেন। তাঁদের দাবি, লকডাউনের সময় এপ্রিল-মে মাসে চাষিরা সে ভাবে ধান বিক্রি করতে আসেননি। ফলে সে সময় ধান কেনার গতি কিছুটা কম থাকলেও জুন, জুলাই, অগস্টে ধান কেনার গতি বেড়েছে।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘এ বারে জেলায় ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। সঙ্গে লাগাতার প্রচার চালিয়ে চাষিদের সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় শিবির ও কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রমুখী করা গিয়েছে। যার জেরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এ বারে ছাপিয়ে গিয়েছে।’’
জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান কেনার বছর ধরা হয় ১অক্টোবর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দু’দিন আগেই ধান কেনার বছর শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের সহায়ক মূল্যে ধান কেনার নতুন বছর শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী গত মরসুমে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দফতর। গত মরসুমের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩লক্ষ ৬৫হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। লকডাউনের দিন থেকে অর্থাৎ ২৪মার্চ পর্যন্ত ২লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছিল। ২৪ মার্চের পর থেকে ৩০সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে।
জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, জেলার ২৬টি ব্লকের মধ্যে ২৫টি ব্লকে কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। যে ব্লকে কিসান বাজার রয়েছে, সে ব্লকে কিসান বাজারে কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।
যেখানে কিসান বাজার নেই, সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি বা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের চত্বের কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খুলে ধান কেনা হয়েছে।
এ ছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ধান কিনতে মাঠে নামানো হয়েছিল। তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় নেমে ধান কিনেছেন। বিভিন্ন সমবায় সংস্থাও জেলা জুড়ে শিবির করেছিল। যার ফলে ধান কেনায় গতি ছিল।
কোভিড পরিস্থিতিতে যখন সব ধরনের কাজে সমস্যা হয়েছে, সেখানে ধান কেনায় সাফল্য এল কী করে? জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধন কুমার পাঠক অবশ্য বলেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে এপ্রিল-মে মাসে চাষিরা সেভাবে ধান নিয়ে আসেননি। ফলে সে সময় ধান কেনার গতি কিছুটা কম ছিল। তবে জুন, জুলাই, অগস্টে চাষিরা ভাল পরিমাণ ধান বিক্রি করেছেন। যার জেরে এতটা ধান কেনা সম্ভব হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy