Advertisement
E-Paper

পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ধান কেনায় ছাপাল লক্ষ্যমাত্রা

মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘এ বারে জেলায় ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। সঙ্গে লাগাতার প্রচার চালিয়ে চাষিদের সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় শিবির ও কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রমুখী করা গিয়েছে। যার জেরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এ বারে ছাপিয়ে গিয়েছে।’

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সামসুদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ০৩ অক্টোবর ২০২০ ০২:৫২
Share
Save

লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী সহায়ক মূল্যে ধান কেনায় গতি নেই বলে প্রায় প্রতি বছরই অভিযোগ ওঠে। পাড়ায় পাড়ায় পর্যাপ্ত শিবির না হওয়ায় চাষিদেরও কম দামে ফড়েদের কাছে ধান বিক্রি করতে হয় বলে অভিযোগও ওঠে। সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রে বরাবরই এই চিত্র দেখা দেয়। কিন্তু এ বারে সেই চেনা ছবির কিছুটা হলেও পরিবর্তন হয়েছে। জেলা প্রশাসনের হিসেব বলছে, তাঁরা লক্ষ্যমাত্রার থেকেও এ বছর বেশি ধান কিনেছেন। তাঁদের দাবি, লকডাউনের সময় এপ্রিল-মে মাসে চাষিরা সে ভাবে ধান বিক্রি করতে আসেননি। ফলে সে সময় ধান কেনার গতি কিছুটা কম থাকলেও জুন, জুলাই, অগস্টে ধান কেনার গতি বেড়েছে।

মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘এ বারে জেলায় ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে। সঙ্গে লাগাতার প্রচার চালিয়ে চাষিদের সহায়ক মূল্যে ধান ক্রয় শিবির ও কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্রমুখী করা গিয়েছে। যার জেরে ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা এ বারে ছাপিয়ে গিয়েছে।’’

জেলা খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ধান কেনার বছর ধরা হয় ১অক্টোবর থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। দু’দিন আগেই ধান কেনার বছর শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে ফের সহায়ক মূল্যে ধান কেনার নতুন বছর শুরু হয়েছে। সেই অনুযায়ী গত মরসুমে সাড়ে তিন লক্ষ মেট্রিকটন ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা দিয়েছিল রাজ্য খাদ্য দফতর। গত মরসুমের শেষ দিন অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলায় ৩লক্ষ ৬৫হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে। লকডাউনের দিন থেকে অর্থাৎ ২৪মার্চ পর্যন্ত ২লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিক টন ধান কিনেছিল। ২৪ মার্চের পর থেকে ৩০সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১ লক্ষ ৩৩ হাজার মেট্রিকটন ধান কেনা হয়েছে।

জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, জেলার ২৬টি ব্লকের মধ্যে ২৫টি ব্লকে কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খোলা রয়েছে। যে ব্লকে কিসান বাজার রয়েছে, সে ব্লকে কিসান বাজারে কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র তৈরি হয়েছে।

যেখানে কিসান বাজার নেই, সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত বা পঞ্চায়েত সমিতি বা অন্য সরকারি প্রতিষ্ঠানের চত্বের কেন্দ্রীয় ধান ক্রয় কেন্দ্র খুলে ধান কেনা হয়েছে।

এ ছাড়া স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের ধান কিনতে মাঠে নামানো হয়েছিল। তাঁরা পাড়ায় পাড়ায় নেমে ধান কিনেছেন। বিভিন্ন সমবায় সংস্থাও জেলা জুড়ে শিবির করেছিল। যার ফলে ধান কেনায় গতি ছিল।

কোভিড পরিস্থিতিতে যখন সব ধরনের কাজে সমস্যা হয়েছে, সেখানে ধান কেনায় সাফল্য এল কী করে? জেলা খাদ্য নিয়ামক সাধন কুমার পাঠক অবশ্য বলেন, ‘‘লকডাউনের সময়ে এপ্রিল-মে মাসে চাষিরা সেভাবে ধান নিয়ে আসেননি। ফলে সে সময় ধান কেনার গতি কিছুটা কম ছিল। তবে জুন, জুলাই, অগস্টে চাষিরা ভাল পরিমাণ ধান বিক্রি করেছেন। যার জেরে এতটা ধান কেনা সম্ভব হয়েছে।’’

MSP Crop

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

মেয়াদ শেষে নতুন দামে আপনাকে নতুন করে গ্রাহক হতে হবে

Best Value
এক বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

এক বছর পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
এক মাসে

৪২৯

১৬৯

এক মাস পূর্ণ হওয়ার পর আপনাকে আবার সাবস্ক্রিপশন কিনতে হবে। শর্তাবলী প্রযোজ্য।