তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী। নিজস্ব চিত্র।
পুরসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার আগে ঘর গোছাতে গিয়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে বহরমপুর পুরসভা দখলের জন্য সুর চড়ালেন জেলার মন্ত্রী বিধায়কেরা। আর সেই চড়া সুরে দানা বাঁধল বিতর্ক। প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে পুরসভা নির্বাচনে বহরমপুর পুরসভাকে দখল করা হবে বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
বহরমপুর সুইমিং পুল অ্যাসোসিয়েশনের মাঠে শহর তৃণমূলের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয়া সম্মীলনীতে উপস্থিত হয়ে বহরমপুরবাসীকে কার্যত হুমকি দিলেন তিনি। হুমায়ুন বলেন, “রাজ্য সরকারের সুযোগ সুবিধা নেব আর তৃণমূলকে বুড়ো আঙুল দেখাব, আমরা কিন্তু শুনবো না। হুক অর কুক বহরমপুর পুরসভা তৃণমূলের চাই।”
যা নিয়ে জেলা জুড়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, “অন্তঃসার শূন্য আস্ফালন ভরতপুরের বিধায়কের চরিত্রের প্রধান দিক। বহরমপুরবাসীকে এর আগেও তিনি নানা ভাষায় কটূক্তি করেছেন। আগামীদিন তাঁর কটূক্তির জবাব বহরমপুরবাসী মেরুদণ্ড সোজা করেই দেবেন।” বিজেপি জেলা সভাপতি গৌরী শঙ্কর ঘোষ বলেন, “তৃণমূল দলের নেতারা হুমকি ধমকি দিয়ে জনতার সঙ্গে আচরণ করেন। বহরমপুরবাসী তাতে বিচলিত হবেন না।” আবার ওই অনুষ্ঠানেই শহর তৃণমূলের কর্মীদের হুমকি দিয়ে বর্ষীয়ান বিধায়ক নিয়ামত শেখ বলেন “নেমক হারামি করবেন না। দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল।” যা পরে নিজের বক্তব্যে শামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন দলের মুর্শিদাবাদ ইউনিটের সভাপতি শাওনি সিংহরায়। তিনি বলেন, “নিয়ামতদার কথা শুনে আপনাদের মুখ শুকিয়ে গিয়েছে বুঝতে পারছি। উনি আমাদের অভিভাবক একটু বকাবকি করতেই পারেন।” তবে বিজয়া সম্মিলনীর সুর যে চড়া হবে তা মুখরাতেই বুঝিয়ে দিয়েছিলেন শহর তৃণমূল সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আপনার ধৈর্য ধরে আজকের সম্মিলনীতে জেলায় উন্নয়নের কাণ্ডারীদের কথা শুনবেন। এলাম চলে গেলাম এমন করলে তৃণমূল দল করা আপনাদের পক্ষে মুশকিল হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy