Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সতর্ক করা হল বিধায়ককে, দ্বন্দ্ব থামাতে কড়া তৃণমূল

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দলের বিভিন্ন ব্লক, শহর সভাপতি থেকে শুরু করে পুরপ্রধান, বিধায়ক সকলেই নিজের মতামত জানান। অনেকেই নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত শুক্রবারই শান্তিপুরে এক প্রকাশ্য সভায় শান্তিপুরের পুরপ্রধানকে লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিধায়ক শিবিরের নেতারা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা 
রানাঘাট শেষ আপডেট: ০২ ডিসেম্বর ২০১৯ ০২:০৩
Share: Save:

রানাঘাট সাংগঠনিক জেলা গঠনের পর প্রথম জেলা কমিটির বৈঠক। আর সেই বৈঠক গড়াল প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টায়। রবিবার ম্যারাথন বৈঠকে দলের অন্তর্দ্বন্দ্ব থামাতে কড়া বার্তা দিলেন দলের জেলা সভাপতি। এমনকি একাধিক ইস্যুতে তাঁর তোপের মুখেও পড়তে হল শান্তিপুরের বিধায়ক অরিন্দম ভট্টাচার্যকে।

দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন দলের বিভিন্ন ব্লক, শহর সভাপতি থেকে শুরু করে পুরপ্রধান, বিধায়ক সকলেই নিজের মতামত জানান। অনেকেই নানা বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। গত শুক্রবারই শান্তিপুরে এক প্রকাশ্য সভায় শান্তিপুরের পুরপ্রধানকে লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বিধায়ক শিবিরের নেতারা। পুরপ্রধানকে দুর্নীতিগ্রস্ত বলেও তোপ দেগেছিলেন তাঁরা। এ দিনের বৈঠকে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শান্তিপুরের উপ-পুরপ্রধান আব্দুস সালাম কারিগর। বৈঠকে তিনি জানান, বিরোধী দলের ভাষায় কথা বলা হয়েছে ওই সভায়। মানুষের কাছে জবাব দিতে হচ্ছে। শান্তিপুর ব্লকের দলীয় সভাপতি তপন সরকারও বিধায়ককে নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বৈঠকে। তিনি বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানতে পারছি না। বিধায়ক অরিন্দম বিভিন্ন জায়গায় বৈঠক ডাকছেন।’’

পরে রাজ্যপালের সঙ্গে এক মঞ্চে থাকার বিষয়ে জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ শান্তিপুরের বিধায়কের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘হয় বুঝে করা হয়েছে, অথবা না বুঝে করা হয়েছে। আমার মনে হয় না, এটা না বুঝে করা হয়েছে। যেখানে রাজ্যপাল রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে যাচ্ছেন সেখানে আলাদা ভাবে কেউ চলে যাবে এটা চলতে পারে না।’’

আগের দিনের সভা নিয়েও জেলা সভাপতি প্রশ্ন করেন বিধায়ককে। জানতে চান, এই সভা কেন আর এভাবে দলেরই নেতাকে আক্রমণের কারণ কী। সভা নিয়ে সভাপতি বলেন, ‘‘যেটা হয়েছে ঠিক হয়নি। এটা মানা যাবে না। এই ধরনের হলে ভাবতে হবে। একটা শহরে নিজেদের বোর্ড, তাঁকে যদি আমরা আক্রমণ করি তাহলে কী বার্তা যাবে?’’ বৈঠকের বিষয় নিয়ে অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি বিধায়ক অরিন্দম। তিনি বলেন, “এই বিষয়ে যা বলার জেলা সভাপতি বলবেন।”

বীরনগরে একাধিকবার দলের কোন্দলের কারণে বিব্রত হতে হয়েছে দলকে। এ দিনের বৈঠকে দলের শহর সভাপতি এবং পুরপ্রধান জানান, নিজেদের কাজ করতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সেখানেও দুই শিবিরের বিভাজন স্পষ্ট হয়। জেলা সভাপতি শঙ্কর সিংহ অবশ্য দলের গাইডলাইন মেনে সেখানে সবাইকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার বার্তা দেন। সেখানে এর আগেও দলের কোন্দলের জেরে উন্নয়নের টাকা ফেরত গিয়েছে। এ দিনের বৈঠকে আটকে থাকা রবীন্দ্র ভবনের বিষয়েও কথা হয়। জেলা সভাপতি দ্রুত সমস্যা মিটিয়ে কাজ শুরু করার কথা বলেন। বৈঠকে জেলা সভাপতি জানিয়ে দেন, ব্লক এবং শহর সভাপতিকে মান্যতা দিয়েই কর্মসূচি পালন করতে হবে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC BJP TMC Conflict Shantipur MLA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy