প্রতীকী ছবি।
ফের জঙ্গিপুরে মাথা চাড়া দিল তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। কোন্দলের জেরে মঙ্গলবার রঘুনাথগঞ্জ-১ ব্লকে কৃষি দফতরের ডাকা ‘আত্মা’ প্রকল্পের কমিটি গঠনের জন্য ডাকা সভা মঙ্গলবার ভেস্তে গিয়েছে।
এমনকি, পঞ্চায়েত সমিতির কয়েকজন সদস্য-সহ উপস্থিত ২৩ জন সদস্য দুপুর থেকে সন্ধে পর্যন্ত কয়েক ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন ব্লকের সহকারী কৃষি অধিকর্তা অমলেশ ঘোষকে। খবর পেয়ে সন্ধেয় স্থানীয় থানার পুলিশ ব্লক অফিসে যান। ততক্ষণে অবশ্য ঘেরাওমুক্ত হয়েছেন ওই আধিকারিক। প্রসঙ্গত, মাস দেড়েক আগেও ওই কমিটি গঠনের জন্য ডাকা সভা মাঝপথে ভেস্তে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বার সভা ভেস্তে যাওয়ায় অস্বস্তিতে জঙ্গিপুরের কৃষিকর্তারা। পরবর্তী সভা কবে হবে, আদৌ তা করা যাবে কি না, তা নিয়েও তাঁরা সংশয়ে। এদিকে, বুধবার গোটা ঘটনা জানতে দলীয় নেতাদের ফোন করেন তৃণমূলের জেলা পর্যবেক্ষক শুভেন্দু অধিকারী। এ নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেন। আগামী ২১ সেপ্টেম্বর শুভেন্দুর জঙ্গিপুরে আসার কথা। সূত্রের খবর, দ্বন্দ্ব মেটাতে ওইদিন দলের পঞ্চায়েত ও বুথ স্তরের নেতাদের নিয়ে বৈঠক করবেন তিনি। পরে তাঁর একটি
সভাও রয়েছে।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, রঘুনাথগঞ্জ-১ পঞ্চায়েত সমিতি দলের মন্ত্রী জাকির হোসেনের বিরোধী গোষ্ঠীদের দখলে। অভিযোগ, যে কোনও কাজে দীর্ঘদিন ধরেই জাকিরকে এড়িয়ে চলেন সমিতির সভাপতি-সহ অধিকাংশ সদস্য। তাঁরা চান, ‘আত্মা’ প্রকল্পের কমিটি গঠিত হোক সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থন নিয়ে। কিন্তু মন্ত্রীর অনুগামীরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান ওই কমিটি। এ নিয়েই দ্বন্দ্ব। কৃষি দফতর সূত্রে বলা হয়েছে, বিভিন্ন ব্লক আধিকারিকদের প্রতিনিধি ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের মধ্যে ২৫ জনকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করে কেন্দ্রের ‘আত্মা’ প্রকল্পে বরাদ্দ অর্থ খরচ করতে হয়। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক লক্ষ টাকা ব্লকে এসেও গিয়েছে। কিন্তু কৃষি উন্নয়নে তা কাজে লাগানো যাচ্ছে না কমিটি গঠিত না হওয়ায়।
ওই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিয়া পরভিনের অভিযোগ, ‘‘২৫ জনের মধ্যে ২৩ জন হাজির ছিলেন মঙ্গলবারের সভায়। রেজুলেশনের খাতায় বৈঠকের সিদ্ধান্ত লেখার সময় হঠাৎই কৃষিকর্তা জানান, আজ সভা করা যাবে না। মন্ত্রী সভা বন্ধ করতে বলেছেন। আমরা এরই প্রতিবাদ করেছি। তারপরই ওঁকে ঘেরাও করা হয়।’’
তবে অমলেশবাবু পরে বলেন, “কী করব? মন্ত্রী চাপ দিচ্ছেন সভা না করার জন্য। আবার পঞ্চায়েত সমিতি বলছে, সভা করে কমিটি গঠন করতে হবে। আপাতত সভা স্থগিত রাখতে হয়েছে।’’ জঙ্গিপুর মহকুমা কৃষি আধিকারিক উত্তম কোনাই বলেন, “সমস্ত কিছু জানানো হয়েছে জেলা কৃষি দফতরে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যেমন বলবেন, তেমনই করা হবে।’’ আর গোটা বিষয় নিয়ে মন্ত্রী জাকিরের প্রতিক্রিয়া “আমি সভা বন্ধ করতে কাউকে চাপ দিইনি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy