Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
TMC

তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলেন দলেরই সদস্যেরা! প্রকাশ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের নির্দেশে ৬ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষ। তার পর থেকে প্রধান নির্বাচনের জন্য ওই পঞ্চায়েতে কোনও সভা হয়নি।

গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বসে বিক্ষোভও তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের।

গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের সামনে বসে বিক্ষোভও তৃণমূলের প্রতীকে নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্যদের। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
ভরতপুর শেষ আপডেট: ২৯ নভেম্বর ২০২২ ২৩:১৭
Share: Save:

তৃণমূলের পতাকা হাতে নিয়েই শাসকদল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিলেন দলীয় সদস্যেরা। সেই সঙ্গে ওই পঞ্চায়েতের সামনে বসে বিক্ষোভও দেখান তাঁরা। এর জেরে মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে প্রকাশ্যে এল তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দল। মঙ্গলবার এই বিক্ষোভের জেরে কার্যত ব্যাহত হয় নাগরিক পরিষেবা।

তৃণমূল সূত্রে খবর, দলের নির্দেশে চলতি বছরের ৬ সেপ্টেম্বর পদত্যাগ করেন গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হরপ্রসাদ ঘোষ। ১২ সেপ্টেম্বর তাঁর পদত্যাগ গৃহীত হয়। তার পর থেকে প্রধান নির্বাচনের জন্য ওই পঞ্চায়েতে কোনও সভা হয়নি। তা নিয়ে ভরতপুর ১ নম্বর ব্লকের বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে দাবিও জানান পঞ্চায়েত সদস্যরা। তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য নিরোজ শেখের দাবি, ‘‘কাজ চালানোর জন্য দায়িত্ব পেয়েছেন বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত এক সদস্য। ফলে পঞ্চায়েত কাজ হচ্ছে না। বোর্ড গঠনের দাবি জানাতে মঙ্গলবার তাই দলের পতাকা নিয়ে পঞ্চায়েত বন্ধ করে দেওয়া হয়।’’

প্রসঙ্গত, ১১ আসনবিশিষ্ট গুন্দিরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে নির্বাচনে ৬ জন তৃণমূল প্রা‌র্থী জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া, বিজেপি ৩টি আসন লাভ করে। ১ জন করে কংগ্রেস এবং নির্দল প্রার্থী জয়ী হন। ৬ জুন প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন ৭ জন নির্বাচিত সদস্য। পরবর্তীকালে অনাস্থা ভোট করানোর নির্দেশ দেয় উচ্চ আদালত। উপপ্রধানের পদটি তপসিলি জাতির মহিলার জন্য সংরক্ষিত ছিল। ওই পঞ্চায়েতে একমাত্র তপসিলি জাতির মহিলা সদস্য ছিলেন বিজেপি প্রতীকে জয়ী মেনকা গমেন। পঞ্চায়েত আইনবলে তিনিই উপপ্রধান নির্বাচিত হন।

পঞ্চায়েত অফিসে তালা ঝোলানোর বিষয়টি অস্বীকার না করলেও তা দলীয় সদস্যের কাজ নয় বলে দাবি ভরতপুর ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সরখেলের। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা পঞ্চায়েত অফিসে তালা দিয়েছেন, তাঁরা কেউ তৃণমূলের লোক নন।’’

প্রসঙ্গত, ২৬ নভেম্বর গুন্দিরিয়ায় সভা করেন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই সভায় এলাকার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং ব্লক সভাপতি সঞ্জয় সরখেলকে দেখা যায়নি। সেই সভায় ওই পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা নিয়ে সরব হন হুমায়ুন। তোপ দাগেন ব্লক সভাপতির দিকেও। তার পরেই এই ঘটনায় ভরতপুরে তৃণমূলে গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্য বিষয়গুলি:

TMC inner conflict
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy