Advertisement
২৭ ডিসেম্বর ২০২৪
Corporation Election

বাঁচলেন অজয়, গেরোয় যতন সরকার, সাজাহান

পুরভোটের নাটমঞ্চে ঘণ্টা পড়ে গিয়েছে। সংরক্ষণের খসড়া তালিকা (কৃষ্ণনগর ও চাকদহের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত তালিকা) প্রকাশ হতেই অস্বস্তি শুরু। যে সব নেতা সংরক্ষণের ঠেলায় নিজের ওয়ার্ডে দাঁড়াতে পারবেন না, তাঁরা কী করবেন? কে তাঁকে জেতা আসন ছাড়বেন? কী বলছেন সেই সব নেতা? খোঁজ নিচ্ছে আনন্দবাজার। শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলারের আসনও সংরক্ষণের কোপে পড়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সম্রাট চন্দ 
শেষ আপডেট: ২০ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৩০
Share: Save:

বেঁচে গিয়েছেন পুরপ্রধান, উপ-পুরপ্রধান। কিন্তু সংরক্ষণ কাঁটায় বিদ্ধ জল সরবরাহ বিভাগের যতন সরকার ও জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের সাজাহান শেখ।

খসড়া সংরক্ষণের তালিকা অনুযায়ী, শান্তিপুর পুর এলাকার একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে নিজেদের পুরনো আসন হারাতে হতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

তবে পুরপ্রধান অজয় দে-র ১৩ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষণের আওতার বাইরেই রয়েছে। সংরক্ষণের কোপে পড়তে হয়নি উপ-পুরপ্রধান আব্দুস সালাম কারিগরকেও। কিন্তু জল সরবরাহ বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলের সদস্য এবং পুরসভার পাঁচ বারের যতন সরকারের চার নম্বর ওয়ার্ড মহিলা সংরক্ষিত হয়েছে, জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের চেয়ারম্যান-ইন-কাউন্সিলের সদস্য সাজাহান শেখের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডও সংরক্ষিত হয়েছে। কাজেই এ বারের পুরভোটে তাঁদের আগের আসনে দাঁড়ানো নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। সিপিএম কাউন্সিলার এবং দলের শান্তিপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সৌমেন মাহাতোর ১১ নম্বর ওয়ার্ডও সংরক্ষিত হয়েছে মহিলাদের জন্য।

শাসক দলের একাধিক কাউন্সিলারের আসনও সংরক্ষণের কোপে পড়েছে। বিভাস ঘোষের ১৯ নম্বর ওয়ার্ড, সুব্রত ঘোষের ১৪ নম্বর ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে। শুভজিৎ দে র স্ত্রী ২০১০ সালে কাউন্সিলার হন ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। ২০১৫ সালের ভোটে শুভজিৎ ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়ে জিতে যান। এ বার সেই ৮ নম্বর ওয়ার্ড মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত। কাজেই শুভজিতের প্রার্থী হওয়া নিয়ে সংশয় রয়েছে। যাঁদের ওয়ার্ড সংরক্ষিত হয়েছে তাঁদের পরিবর্তে সেখানে তাঁদের ঘনিষ্ঠ কাউকে বা পরিবারের কাউকে কি প্রার্থী করবে দল? নাকি অন্য কোনও আসনে এঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে? এই সব প্রশ্ন ঘুরছে। তবে সুব্রত ঘোষের মত অনেকেই বলছেন, “এই বিষয়ে দল যা সিদ্ধান্ত নেবে সেটাই মেনে নেব।” আর সিপিএমের সৌমেন মাহাতো বলেন, “আমাদের দলের কে কোন আসনে প্রার্থী হবেন তা দলই স্থির করবে। আমাদের কোনও মতামত নেই।”

শান্তিপুরের পুরপ্রধান অজয় দে ১৯৯০ সাল থেকে মাঝে দু’বার বাদ দিয়ে চার বার জিতে এসেছেন ১৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে। সেই আসনে সংরক্ষণের কাঁটা নেই এ বারেও। অজয় বলছেন, “কে কোথায় প্রার্থী হবেন বা হবেন না, তা দলই ঠিক করবে।” ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে এর আগে এক বার জিতেছেন বৃন্দাবন প্রামাণিক। গত বছর সেটি মহিলা সংরক্ষিত হওয়ায় তাঁর স্ত্রী প্রার্থী হন এবং জিতেও যান। এ বার খসড়া তালিকা অনুযায়ী সেই আসন তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত। কাজেই এ বার সেখানে সুপ্রীতিদেবীর প্রার্থী হতে যেমন বাধা নেই তেমনই তাঁর স্বামী বৃন্দাবনেরও দাঁড়াতে বাধা নেই। বৃন্দাবন বলেন, “যা ঠিক করার দলই করবে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Corporation Election Reservation Draft TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy