নিগৃহীত সেই দম্পতি। নিজস্ব চিত্র
এক দম্পতিকে মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানায়, তাঁর নাম শঙ্কর অধিকারী। তিনি রানাঘাটের ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে রানাঘাট শহরের সড়কপাড়ায়। রাতে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন মান্তু দাস নামে এক মহিলা। আহত ওই মহিলা রানাঘাট মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পুলিশ জানায়, এ ব্যাপারে তদন্ত শুরু হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সড়কপাড়ায় একটি জমি কিনেছেন মান্তু এবং তাঁর স্বামী বিশ্বজিৎ দাস। ওই দিন তারা জমিতে কাজ করতে এসেছিলেন। মান্তুর অভিযোগ, “সেই সময়ে আমাদের কাছে দু’লক্ষ টাকা চান ওই কাউন্সিলর। টাকা না দিলে কাজ করতে দেবে না বলে হুমকিও দেন। আমার স্বামীকে মারধর করেন। ঠেকাতে গেলে আমাকেও মারধর করা হয়। শ্লীলতাহানি করা হয়। আমার বুকে-পেটে লাথি মারে ওরা।”
অভিযোগ অস্বীকার করে শঙ্কর অবশ্য বলেন, “আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। আমি ওঁদের কাউকে মারিনি। গোপাল মন্দির করবেন বলে ওঁরা আমাদের এলাকায় ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা দিয়ে জমি কিনেছিলেন। জমির দাম বাবদ এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা বাকি ছিল। আমি মধ্যস্থতা করেছিলাম। কথা ছিল, টাকা পরিশোধ করে কাজ করবেন। কয়েক বার ওঁদের বাড়িতে টাকার জন্য যাই। ওঁরা কথা রাখেননি।’’
শঙ্করের দাবি, ‘‘এ দিন ওঁরা জমিতে কাজ করতে এলে আমি গিয়ে বলি, জমি পরিষ্কার করছ করো। বাকি টাকা পরিশোধ করে সেখানে প্রাচীর দেওয়ার কাজ শুরু কোরো। বিষয়টি নিয়ে মহিলার স্বামীর সঙ্গে কথা হচ্ছিল। মহিলা দূরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই সময়ে উত্তেজিত হয়ে ওঁর স্বামী আমাকে বুকে ধাক্কা মারেন। বেগতিক বুঝে ওই মহিলা আমাকে ফাঁসাবেন বলে চিৎকার শুরু করেন। পরে শুনি, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন।” তৃণমূল পরিচালিত রানাঘাট পুরসভার প্রধান পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এ ব্যাপারে আমার কিছুই জানা নেই। আমাকে কেউ কিছু জানায়নি। এটুকু বলতে পারি, অভিযোগ হলে আইন আইনের পথে চলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy