Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
TMC

জেবের-কোপে রুকবানুরের দুই অনুগামী

তৃণমূল সূত্রের খবর, নতুন কমিটি তৈরির আগে বিধায়ক রুকবানুর তাঁর ঘনিষ্ঠ শুকদেব ব্রহ্মকে ব্লক সভাপতি করার জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন।

প্রতীকী চিত্র।

প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব স‌ংবাদদাতা
চাপড়া শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২০ ০২:৪৯
Share: Save:

নতুন কমিটি গঠন হতে না হতেই চাপড়ায় বিধায়ক ঘনিষ্ঠ দুই অঞ্চল সভাপতি বদলে দেওয়া হল। আর সেই সঙ্গেই বিধায়কের ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গেল বলে মনে করছেন দলেরই অনেকে। বিধায়কের বাধা সত্ত্বেও জেলা নেতৃত্বের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত জেবের শেখ চাপড়া ব্লক সভাপতি পদে রয়ে গিয়েছেন। তৃণমূলের একটি সূত্রের দাবি, এর পরেই জেবেরের প্রবল বিরোধী বলে পরিচিত বিধায়ক রুকবানুর রহমানকে সাংগঠনিক ভাবে কোণঠাসা করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। তারই প্রথম ধাপ তাঁর ঘনিষ্ঠ দুই অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া। বিধানসভা ভোটের আগে এই প্রক্রিয়া আরও জোরালো হতে পারে। কারণ জেবের নিজেই বিধানসভা ভোটের টিকিটের দৌড়ে আছেন।

চাপড়া ব্লকে ১৩টির মধ্যে এত দিন প্রায় অর্ধেক অঞ্চলের সভাপতি ছিলেন বিধায়কের অনুগামীরা। তার মধ্যে অন্যতম ছিল আলফা ও কলিঙ্গ। সোমবার এই দু’টি অঞ্চলের সভাপতি বদলে দেওয়া হয়েছে। এত দিন আলফার অঞ্চল সভাপতি ছিলেন খোরশেদ আলম মোল্লা। তাঁর পরিবর্তে নতুন সভাপতি করা হয়েছে ব্লক সভাপতি জেবের শেখের বিশ্বস্ত সঙ্গী বলে পরিচিত গোলাম রসুল হালসানাকে। আর কলিঙ্গ অঞ্চল সভাপতি ছিলেন সামসুল ইসলাম মণ্ডল। তাঁকে সরিয়ে সভাপতি করা হল জেবেরের আর এক অনুগত নুরুল ইসলাম মহলদারকে।

জেবের শেখ অবশ্য দাবি করছেন, গোষ্ঠী রাজনীতির কারণে নয়, সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্যই এই পরিবর্তন। তাঁর কথায়, “কলিঙ্গের সামসুল ইসলাম মণ্ডলের হার্টের সমস্যা। বাইপাস সার্জারি হয়েছে। তিনি আর সাংগঠনিক কাজে সে ভাবে সক্রিয় থাকতে পারছেন না। আর আলফার খোরশেদ আলম মণ্ডলের সঙ্গে এলাকার নেতা-কর্মীদের তেমন যোগাযোগই নেই। এই সব কারণেই বদল করতে হল।”

জেবেরের বক্তব্য কিন্তু মানতে নারাজ অপসারিত দু’জনেই। শামসুল বলেন, “আমার অস্ত্রোপচার হয়েছে ২০১৭ সালে। তার পর আমি পঞ্চায়েত ও লোকসভা ভোট করেছি। দলকে জিতিয়ে এনেছি। আসলে আমি বিধাসকের সঙ্গে আছি বলেই সরিয়ে দেওয়া হল।” আর খোরশেদের দাবি, “একেবারেই ভিত্তিহীন কথা। লোকসভা ভোটে আমার এলাকা থেকে ১৩ হাজার ভোটারের মধ্যে সাড়ে আট হাজার ভোটে লিড দিয়েছিলাম। বিধায়কের সঙ্গ না ছাড়াতেই আমায় সরতে হল।

তৃণমূল সূত্রের খবর, নতুন কমিটি তৈরির আগে বিধায়ক রুকবানুর তাঁর ঘনিষ্ঠ শুকদেব ব্রহ্মকে ব্লক সভাপতি করার জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত জেবেরকেই সভাপতি পদে রেখে দেওয়া হয়। এ বার তিনি নিজের মতো করে ব্লকের সংগঠন সাজাতে শুরু করেছেন যাতে বিধায়কের নিয়ন্ত্রণ কমিয়ে আনা যায়। রুকবানুরের হুঁশিয়ারি, “আমার সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা না করেই এই পরিবর্তন করা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে এই ধরণের সাংগঠনিক পরিবর্তন কিন্তু দলের পক্ষে ভাল না-ও হতে পারে।”

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Rukbanur Chapra MLA Chapra Block
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy