বন্ধ ১ নম্বর টিকিট কাউন্টার। লম্বা লাইন অন্যটিতে। ছবি: সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়।
পলাশি যাবেন বলে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন বছর পঁচিশের সুমনা দত্তবণিক। ট্রেনেই সুবিধে হবে ভেবে যখন বেলডাঙা স্টেশনে পৌঁছলেন, ট্রেনের তখনও মিনিট পাঁচেক দেরি। কিন্তু টিকিট কাটতে গিয়ে কপালে চোখ উঠল তাঁর! সামনে আঁকাবাঁকা বিশাল লাইন। পাঁচ মিনিট তো দূর, টিকিট হাতে পেতে গেলে অন্তত আধঘণ্টা লাগবে। ভাবলেন ফিরে যাবেন। কিন্তু ছেলের বায়নাক্কার কাছে হার মেনে লাইনে দাঁড়ালেন। খানিক পরে ট্রেন এল— হুস করে চলেও গেল!
শুধু সুমনাদেবী নন, দিনের পর দিন এমন ভাবে নাজেহাল হচ্ছেন আসা বহু যাত্রী। স্টেশনে দু’টি অসংরক্ষিত কাউন্টার রয়েছে। তার একটি আবার আড়াই মাস হল বন্ধ! অন্যটিতে কোনও রকমে কাজ চলছে। কাউন্টারের সামনে জমছে ভিড়। তাই নির্ধারিত সময়ে স্টেশনে পৌঁছেও নির্দিষ্ট ট্রেন ধরতে পারছেন না তাঁরা। এ নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই। তবে রেলকর্তারা আশ্বাস দিয়েছেন দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
বেলডাঙা পুরসভার বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মী চঞ্চল ঘোষের অভিজ্ঞতা, এমনিতেই ট্রেন কম চলে। তার উপরে দীর্ঘ সময় কাউন্টারে দাঁড়িয়ে অনেকেই নির্ধারিত ট্রেন ধরতে পারছেন না। শেষ মুহূর্তে টিকিট পেয়ে পড়িমড়ি করে ট্রেন ধরতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে হাত-পা ভাঙার নজিরও রয়েছে। পেশায় শিক্ষিকা রচনা বিশ্বাস বলেন, ‘‘স্টেশন মাস্টারকে টিকিট কাউন্টার বন্ধ কেন জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তিনি হাত তুলে জানিয়েছেন তাঁর কিছুই করার নেই! দফতর যে দিন সারাবে সে দিন চালু হবে।’’ পেশায় প্যাথোলজিস্ট নির্মল চন্দ্র বলেন, ‘‘কাজের সূত্রে মাঝে মাঝে বেলডাঙায় আসতে হয়। অনেক দিনই কাউন্টার বন্ধ থাকায় বিস্তর ঝামেলায় পড়তে হয়েছে।’’
রেল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব রেলের শিয়ালদহ-লালগোলা শাখার বেলডাঙা স্টেশনে দৈনিক ১ লক্ষ ২০ হাজারের মতো অসংরক্ষিত টিকিট বিক্রি হয়। এমন স্টেশনে কাউন্টার দীর্ঘ দিন বিকল হয়ে রয়েছে কেন? রেলকর্তাদের দাবি, যান্ত্রিক ত্রুটির (লিঙ্ক সমস্যা) জন্যে ওই কাউন্টারটি চালু করা যাচ্ছে না। কিন্তু এ ভাবে আর কত দিন? স্টেশন মাস্টার গৌতম সাহা স্পষ্ট কোনও আশ্বাস দিতে পারেননি। তিনি শুধু বলেন, ‘‘সমস্যাটি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই কাউন্টারটি চালু হয়ে যাবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy