এ যেন চোরের উপরে রাগ করে মাটিতে ভাত খাওয়ার মতো ব্যাপার।
দিন কয়েক আগে চুরি হয়েছিল শান্তিপুরের বাথানগাছি হাই স্কুলে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে দিয়েছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সেই একই পথে হাঁটলেন হাঁসখালির ভৈরবচন্দ্রপুর হাই স্কুল কর্তৃপক্ষও।
গত ২২ ফেব্রুয়ারি ভৈরবচন্দ্রপুর হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের ঘরের তালা ভেঙে আটটি আলমারি ভেঙে বেশ কয়েক হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে পালায় দুষ্কৃতীরা। স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, ঘটনার এত দিন পরেও দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, পুলিশ সে ভাবে তদন্তই শুরু করেনি। তারই প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ করে হাঁসখালি থানায় গিয়ে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক চিত্তরঞ্জন বিশ্বাসের অভিযোগ, বছর দু’য়েক আগে স্কুলে তিন বার চুরি হয়েছিল। তিন দফায় দুষ্কৃতীরা দশটি কম্পিউটার, পাম্প মেশিন ও ৯টি পাখা খুলে নিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই চুরির কোনও কিনারা করতে পারেনি পুলিশ। এ বারের চুরির পরেও পুলিশ তেমন কোনও পদক্ষেপ করেনি। সেই কারণে মঙ্গলবার পরিচালন সমিতির বৈঠকে ঠিক হয়, বৃহস্পতিবার স্কুল বন্ধ রেখে থানায় যাবেন সকলে।
পড়ুয়াদের ক্ষতি কিংবা স্কুলের পঠনপাঠন বন্ধ না করেও তো অন্য ভাবে প্রতিবাদ করা যেত। স্কুল খোলা রেখে কয়েকজন শিক্ষকও তো থানায় গিয়ে তাঁদের দাবি জানাতে পারতেন। চিত্তরঞ্জনবাবু বলছেন, ‘‘সে দিনের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, কোনও ক্লাস না করেই সকলে মিলে থানায় যাবেন। কিন্তু আমরা তো প্রথম পিরিয়ডের পরে ছুটি দিয়েছি। আর পুলিশ কিছু করছে না বলেই বাধ্য হয়েই আমরা এমনটা করেছি।’’
জেলার মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শক মিতালি দত্ত এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। শিক্ষকদের অভিযোগ, পুলিশ চুরি রুখতে পারছে না। আবার চুরির পরেও পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদের বাঁধা গতে উত্তর, ‘‘চুরির ঘটনায় তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy