নাকাশিপাড়া থানা ফাইল চিত্র।
রবিবারের গোলমালের পর নাকাশিপাড়া থানার আইসি সোমনাথ ভট্টাচার্যকে বদলি করা হল। তিনি বিধাননগর কমিশনারেটে গেলেন। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেলেন বিধাননগর কমিশনারেটের বিশ্বজিৎ ঘোষ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই বদলির কথা ঘোষণা হয়েছে। রবিবার নাকাশিপাড়ায় অশান্তির জেরেই এই পরিবর্তন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে বিক্ষোভ-প্রতিবাদে উত্তাল হাওড়াতেও পুলিশ কর্তাদের বদল করা হয়।
মঙ্গলবাক অনেকটাই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে এসেছে নাকাশিপাড়ার বেথুয়াডহরি। এ দিন সেখানে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বদলীয় শান্তি বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। যদিও সেই বৈঠকে বিজেপির কোনও প্রতিনিধিকে দেখা যায়নি। তবে শান্তি বৈঠক যখন হচ্ছে তখন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বেথুয়াডহরি আসার পথে পুলিশ কৃষ্ণনগরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপরে আটকে দেয়। তা নিয়ে পরে জেলাশাসকের সঙ্গে কথা বলে তিনি ফিরে যান।
রবিবারের অবরোধ, ভাঙচুরে চরম সমস্যায় পড়েছিলেন সাধারণ মানুষ। পর দিনও ওষুধ-সহ সব জিনিসের দোকান বন্ধ ছিল। সেই অচলাবস্থা কাটাতে মঙ্গলবার শান্তি বৈঠক করা হয়। সেখানে কৃষ্ণনগর সদর মহকুমাশাসক চিত্রদীপ সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গ্রামীণ কৃশাণু রায়, বিধায়ক কল্লোল খাঁ, বিডিও কল্লোল বিশ্বাস-সহ সহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। দোকানপাট খোলার জন্য ব্যবসায়ী সমিতির কাছে আবেদন জানানো হয়। ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক পরিমল ঘোষ বলেন, ‘‘বুধবার সকাল থেকে আমাদের সব দোকান খোলা থাকছে।’’ এ দিন নাকাশিপাড়ায় আসার পথে কৃষ্ণনগরের পিডব্লিউডি মোড়ের কাছে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর আটকে দেওয়া হয় জগন্নাথ সরকারকে।
এর জেরে কিছুক্ষণ জাতীয় সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে কথা কাটাকাটিতে জড়িয়ে পড়েন সাংসদ। পরে তিনি জেলাশাসক শশাঙ্ক শেঠির সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, “বেথুয়াডহরিতে ১৪৪ ধারা জারি করা আছে। আমরা সেখানে কোনও রকম জমায়েত করতে দেব না বলেই সাংসদকে আটকে দেওয়া হয়েছে।” যদিও জগন্নাথবাবুর দাবি, তিনি বেথুয়াডহরি নয়, বহরমপুরে যাচ্ছিলেন। তিনি বলেন, “পুলিশের সঙ্গে আমার হাইকোর্টে দেখা হবে।”
এ দিন রানাঘাটে একটি প্রতিবাদ সভা ও মিছিলের আয়োজন হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy