শিক্ষকদের মারামারি, ঝামেলার প্রতিবাদে স্কুলে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। —নিজস্ব চিত্র।
স্কুলের রুটিন নিয়ে বচসা দুই শিক্ষকের। সেটাই গড়াল মারামারিতে! স্কুলের ভিতরে শিক্ষকদের ‘রকম’ দেখে ভীত পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার প্রতিবাদে স্কুলের সামনে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকেরা। ঘটনাস্থল নদিয়ার তেহট্ট থানার গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়।
তেহট্ট এক চক্রের পাথরঘাটা গোবিন্দপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া সংখ্যা ২৩৫ জন। শিক্ষকদের সংখ্যা ৬। অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের শিক্ষকদের মধ্যে কোনও মিল নেই। স্কুলের মধ্যে এমন তর্কে জড়ান যে, ভয় পেয়ে যায় কচিকাঁচারা। তার পর সোমবার যা ঘটল, সেটা তো নজিরবিহীন। পড়ুয়াদের রুটিন তৈরি নিয়ে দুই শিক্ষকের মধ্যে বচসা শুরু হয়। তার পর শুরু হয় হাতাহাতি। বেশ কিছু ক্ষণ দুই শিক্ষকের মারামারিও হয়। পরে অন্য শিক্ষকেরা এসে তাঁদের থামান। পড়ুয়াদের মাধ্যমে সেই খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রায় ৪ ঘণ্টা স্কুলের সামনে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।
শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে ঠিক মতো মিড ডে মিলের রান্না হয় না। শিক্ষকদের মধ্যে কেউ কেউ স্কুলেই ধূমপান করেন। ক্লাসে গিয়ে ঘুমিয়েও পড়েন কেউ কেউ। এ সব অভিযোগ নিয়ে বলতে গেলে কয়েক জন অভিভাবকের সঙ্গে স্কুলের অফিসঘরে বচসা শুরু হয় শিক্ষকদের। শুরু হয় দোষারোপ এবং পাল্টা দোষারোপ।
এর মধ্যে এক শিক্ষক অন্য শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের বেঞ্চ বাড়িতে নিয়ে চলে যাওয়ার অভিযোগ করেন। অভিভাবকদের সামনে শিক্ষকদের এই দোষারোপের মধ্যে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। খবর পেয়ে স্কুলে গিয়ে পৌঁছয় পুলিশ। পৌঁছে যান তেহট্ট এক চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক (এসআই) রমা দে। আলোচনায় বসেন শিক্ষক এবং অভিভাবকদের নিয়ে। আরোজ মোল্লা নামে এক অভিভাবকের কথায়, ‘‘শিক্ষকেরা ছাত্রদের শিক্ষা দেওয়ার বদলে নিজেদের মধ্যে বচসা, হাতাহাতি করছেন। তা হলে ছেলেমেয়েরা স্কুলে এসে কী শিখবে?’’
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাপসকুমার বিশ্বাস স্বীকার করে নেন দুই শিক্ষকের ঝামেলার কথা। তিনি বলেন, ‘‘সোমবার দুই শিক্ষকের মধ্যে রুটিন নিয়ে একটা বচসা হয়েছিল।’’ তবে এলাকাবাসীর অন্যান্য অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন। এসআই বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের মুখ থেকে সমস্ত বিষয় জেনেছি। অভিযোগের তদন্ত হবে। গ্রহণ করা হবে যথাযথ ব্যবস্থা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy