পরীক্ষা দিতে এসে ফিরতে হল ছাত্র ছাত্রীদের। রানিনগরের রামনগর হাইমাদ্রাসায় ওই ঘটনার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা মাদ্রাসায় এসে তালা বন্ধ দেখে বিডিও অফিসে ধর্ণায় বসে। অন্যদিকে মাদ্রাসার শিক্ষকেরাও তাদের উপর তৃণমূল নেতার হামলার প্রতিবাদে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের অফিসে ধর্ণায় বসেন। শিক্ষকদের দাবি, শনিবার তাদের ওপরে যে ভাবে হামলা হয়েছে তাতে তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছে। ফলে তাদের পক্ষে এই সময়ে স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে ছাত্র ছাত্রীদের দাবি, আমাদের কোনও ভাবে না জানিয়ে এ ভাবে পরীক্ষা বন্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া কবে স্কুল খুলবে সেটাও তাদের জানা নেই। ফলে বিডিওর কাছে ধর্ণা দিয়েছে তারা। অন্যদিকে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, ‘‘কোনও নোটিস দেওয়ার সুযোগ ছিল না। শনিবার আক্রমণ হয়েছে। আর সোমবার পরীক্ষা ছিল। মাঝে রবিবার ছিল ছুটির দিন।’’ ব্লক প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষকদের সঙ্গে আলোচনা করে যাতে মাদ্রাসা চালু করে পরীক্ষা নেওয়া যায়, তার চেষ্টা চলছে।
মাস কয়েক আগে ওই মাদ্রাসার পরিচালন সমিতির ভোটে সব কটি আসনে জেতে তৃণমূল। কিন্তু, তারপরেও পরিচালন সমিতি গঠনের জন্য পঞ্চায়েত প্রতিনিধির পাঠানো হয়নি। ফলে সমিতি গঠন করা যায়নি। বিষয়টি মাদ্রাসা বোর্ডে চিঠি লিখে জানান প্রধান শিক্ষক আব্দুল হালিম। আর তাতেই রেগে যান এলাকার তৃণমূল নেতারা।
অভিযোগ, শনিবার মাদ্রাসায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়েও চড়াও হয় রানিনগর ব্লকের যুব সভাপতি মিজান হাসান ও তার দলবল। রানিনগর থানায় এই মর্মে লিখিত অভিযোগও দায়ের হয়েছে। অন্যদিকে মিজান হাসানের দাবি, ‘‘আদতে ওই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক রাজনীতির খেলায় মেতেছেন। ১১ অগস্ট পঞ্চায়েত সমিতি তাদের প্রতিনিধি হিসেবে আমার নাম পাঠায়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক তা নিতে অস্বীকার করেন। শিক্ষকদের উপরে কোনও আক্রমণ হয়নি। প্রধান শিক্ষক নাটক করছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy