মাস দুয়েক পর বারাসতের হস্টেল থেকে বাড়ি ফিরছিল ছেলেটি। চেপে বসেছিল বাসে। পেরিয়েও এসেছিল বেশ কিছুটা পথ। আর মাত্র কয়েক মিনিট। কিন্তু বাড়ি আর যাওয়া হল না। ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত অবস্থায় কৃষ্ণনগর শম্ভুনগরের বাসিন্দা শামিম আখতারকে নিয়ে ছুটতে হল হাসপাতালে।
বাসের সঙ্গে লরির ধাক্কায় একটি হাত কাটা গেল একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রটির। বড়ঞা, ইসলামপুর, ধুবুলিয়ার পরে এ বার একই ঘটনার তালিকায় জুড়ে গেল দিগনগরও।
রবিবার দুপুরে কোতোয়ালি থানার দিগনগর টালিখোলায় এলাকায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ কাটা হাত-সহ শামিমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখান থেকে তাকে কলকাতায় এনআরএস মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, বেসরকারি বাসটি বারাসত থেকে নবদ্বীপ যাচ্ছিল। উল্টো দিক থেকে আসা একটি লরি আচমকা বাসের সামনে চলে আসে। চালক শেষ মুহূর্তে বাস ঘুরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলে লরিটি বাসের গায়ে ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যায়। জানলার ধারে বসেছিল শামিম। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, তার হাত জানালার বাইরে ছিল না। ধাক্কা মেরে বেরিয়ে যাওয়ার সময় লরিতে আটকে যাওয়ায় শামিমের হাত ছিঁড়ে যায়।
শামিমের বাড়ি কৃষ্ণনগর লাগোয়া শম্ভুনগর এলাকায়। বারাসতের একটি আবাসিক মাদ্রাসায় থেকে পড়াশোনা করত সে। সেখান থেকে এ দিন সে বাড়ি ফিরছিল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, তার বাঁ হাত কনুইয়ের উপর থেকে কেটে পড়ে দিয়েছে।
পুলিশ বাস ও লরিটিকে আটক করলেও চালক এবং খালাসিরা পলাতক। বারবার একই ঘটনা ঘটায় উদ্বিগ্ন বাস মালিক সমিতি। সমিতির পক্ষে অসীম দত্ত জানান, যাত্রীদের বারবার সচেতন করা হয়েছে, যাতে তাঁরা জানলার বাইরে হাত না রাখেন। তার পরেও এমন ঘটনা ঘটেই চলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy