—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
গরমের লম্বা ছুটির পরে সরকারি ও সরকারি পোষিত বিদ্যালয়গুলিতে পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার ছিল কম। পড়ুয়াদের বিদ্যালয়মুখী করতে কোথাও গ্রামে গ্রামে মাইকে ঘোষণা করতে দেখা গিয়েছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে, কোথাও আবার ৭০ শতাংশের নীচে উপস্থিতি থাকলে পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হবে না বলে বিদ্যালয়ের তরফ থেক বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। এ বারে দেখা যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষাতেও গরহাজির থাকছে পড়ুয়ারা। শহরের দিকে টেস্ট পরীক্ষায় উপস্থিতি স্বাভাবিক হলেও গ্রামের দিকের বিদ্যালয়গুলিতে টেস্ট পরীক্ষায় বসার হার খুবই খারাপ। দু’দিন আগেই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের টেস্ট পরীক্ষা শুরু হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে কোথাও ১০ শতাংশ, কোথাও ১৫ শতাংশ, কোথাওবা ২০-২২ শতাংশ পড়ুয়া টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকেরা।
টেস্ট পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকছে কেন? শিক্ষাবিদেরা জানাচ্ছেন, দারিদ্রতার কারণে অনেকেই মাঝপথে পড়াশোনা ছেড়ে ভিন্ রাজ্যে যেমন পরিযায়ী শ্রমিকের কাজে পাড়ি দিচ্ছে, তেমনই জেলাতেও গাড়ি বা মোটরবাইকের গ্যারাজ সহ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে। আবার নাবালিকা বিবাহের কারমে অনেক ছাত্রী পড়াশোনা ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে।
বহরমপুর ব্লকের নগড়াজোল উচ্চ বিদ্যালয়ের উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক হুমায়ুন কবীর সরকার বলেন, ‘‘এক মাস আগেও ট্যাবের অর্থ নেওয়ার জন্য ১০৫ জন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া আবেদন করেছিল। তারা সকলে ট্যাবের অর্থও পেয়েছে। অথচ তাদের ২২ জন উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া টেস্ট পরীক্ষা দিতে আসছে না। এটা খুবই উদ্বেগের।’’ বহরমপুরেরই হিকমপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘১০ শতাংশ পড়ুয়া টেস্ট পরীক্ষা দিতে আসছে না।’’ তাঁর দাবি, ‘‘কিছু পড়ুয়া আগেই বিদ্যালয়ে আসা ছেড়ে দিয়েছিল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy