Advertisement
২৪ নভেম্বর ২০২৪
Arrest

আয়া হয়ে বাড়িতে এসে ১৪ দিনের শিশু চুরি! বসিরহাটের সেই একরত্তি উদ্ধার নদিয়ায়, ধৃত দুই

চুরি হওয়া ১৪ দিনের শিশুকে উদ্ধার করল তেহট্ট থানার পুলিশ। শনিবার রাতে নদিয়ার তেহট্ট থানার সাহাপুর থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়।

—প্রতীকী ছবি।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
তেহট্ট শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৩ ২৩:১০
Share: Save:

চুরি হওয়া ১৪ দিনের শিশুকে উদ্ধার করল তেহট্ট থানার পুলিশ। শনিবার রাতে নদিয়ার তেহট্ট থানার সাহাপুর থেকে ওই শিশুকে উদ্ধার করা হয়। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এক মহিলা-সহ দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ধৃতদের নাম পারভিনা ওরফে টুম্পা এবং অরূপ সরকার। শনিবার রাতেই ধৃত-সহ শিশুটিকে বাদুরিয়া থানার হাতে তুলে দেয় পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাদুরিয়া থানার আগাপুরের বাসিন্দা বসিরুদ্দিন সর্দারের স্ত্রী ১৪ দিন আগে একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। স্ত্রী অসুস্থ থাকায় ওই শিশুটিকে দেখাশোনার জন্য বাসির একজন আয়ার খোঁজ করছিলেন। সেই সময় তাঁর সঙ্গে পরিচয় হয় পারভিনা ওরফে টুম্পার। পারভীনা নিজেকে টুম্পা সরকার বলে পরিচয় দেন। অভিযোগ, বেশ কয়েক দিন কাজ করার পর শুক্রবার সন্ধ্যার সময় বেড়াতে যাওয়ার নাম করে আয়া বাচ্চাটিকে নিয়ে পালিয়ে যান। বাচ্চা নিয়ে দীর্ঘ ক্ষণ বাড়ি না ফেরায় বসিরের সন্দেহ হয়। তিনি ওই আয়া ও বাচ্চার খোঁজ শুরু করেন। পারভিনা ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে প্রথমে কলকাতায় চলে যান। সেখানে অরূপের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাচ্চাটিকে সাহাপুরে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসেন। অরূপ ও পারভিনা দু’জনেই একে অপরের পূর্ব পরিচিত। তাঁরা মুম্বইয়ে কাজ করতেন। সেই সময় থেকে ওঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয়।

পুলিশ সূত্রে আরো জানা গিয়েছে, পারভিনা বিভিন্ন নামে কাজ করতেন। সেই সঙ্গে মুম্বই পুলিশের কাছে ওঁর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটা অভিযোগ জমা পড়ে। শুক্রবার বসির বাদুরিয়া থানায় অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্তকারীরা খবর পান, ওই বাচ্চাটিকে নিয়ে পারভিনা তেহট্ট থানার সীমান্তবর্তী এলাকা সাহাপুরে রয়েছেন। বাদুরিয়া থানা থেকে তেহট্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বাদুরিয়া থানা থেকে খবর পেয়ে তেহট্ট থানার আইসি নিজে একটি দল নিয়ে অরূপের বড়িতে হানা দেন। সেখানে গিয়ে ওই বাচ্চাটি উদ্ধার করেন।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ওই শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করার মতলবে ছিল ওই দু’জনের। যদিও পুলিশের তৎপরতায় সেই কাজ তাঁরা করতে পারেননি। পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, এই চক্রের সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছেন কি না। মেয়েটি পুলিশের জেরায় নিজের নাম পারভিনা বললেও মেয়েটি যে ভাবে নাম পরিবর্তন করেছে, তাতে তাঁর আসল নাম এটাই কি না, সেই বিষয়টিও দেখা হচ্ছে। তেহট্টের এসডিপিও শুভতোষ সরকার বলেন, ‘‘খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে তদন্ত শুরু করে। শিশুটিকে উদ্ধার করার পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy