মহুয়া মৈত্র। —ফাইল চিত্র।
তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে মহুয়া মৈত্রকে সাংগঠনিক দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন জেলার ছয় বিধায়ক। যদিও সেই চিঠিতে সই করেননি তেহট্টের বিধায়ক তাপস সাহা। ফলে তাঁর অবস্থান নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।
অনেকেই মনে করেছিলেন, স্থানীয় রাজনৈতিক সমীকরণে এই মুহূর্তে তাপসের অবস্থান মহুয়ার দিকে ঝুঁকে থাকলেও তিনি হয়তো বিধায়কদের বিপরীতে যাবেন না। কারণ, তাঁর একঘরে হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকবে। আর যদি বিধায়কদের অনুরোধ শুনে মমতা জেলা সভাপতি পদ থেকে মহুয়াকে সরিয়ে দেন, বিধায়কেরা যে তাপসের বিরুদ্ধে ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কোথায়। যদিও তাপস ও মহুয়া শিবিরের দাবি, মহুয়া যদি বিধানসভা ভোট পর্যন্ত জেলা সভাপতি থেকে যান, তা হলে এক মাত্র তাপসের টিকিট অনেকটাই নিশ্চিত। জেলার এক বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতার কথায়, “যদি নেত্রী মহুয়াকেই সভাপতি রেখে দেন, তা হলে বুঝে নিতে হবে যে দল বিধায়কদের মধ্যে অনেককেই টিকিট না দেওয়ার কথা ভাবছে।” আর যদি উল্টোটা হয়? তাঁর বক্তব্য, ‘‘তাপসের কপাল আবার পুড়তে চলেছে।’’ ২০১১ সালেও তাপস সাহাকে টিকিট দেওয়া হয়নি।
জেলার রাজনীতিতে প্রথম দিকে মহুয়ার সঙ্গে তাপসের সম্পর্ক ভাল ছিল না। তবে গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে অবস্থা বদলায়। যদিও তাপস বলছেন, ‘‘আজ যারা বড়বড় কথা বলছে, তাদের কেউ কেউ পঞ্চায়েত ভোটে আমার এলাকায় টিকিট বিক্রি করেছে। তাই আমাকে ডাকার সাহস ওদের নেই।” মহুয়া-বিরোধী এক বিধায়কের কথায়, “তাপসকে বলিনি। তার কারণ, তাপস আগেই মহুয়াকে জানিয়ে সতর্ক করে দিত।” যদিও কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান রুকবানুর রহমান বলছেন, “তাপস সাহাকে ডাকা হয়েছিল। তিনি আসেননি। নেত্রীর সিদ্ধান্ত শিরোধার্য।”
তবে মহুয়ার বিরুদ্ধে চিঠি নিয়ে দলের অন্দরে মহুয়া-ঘনিষ্ঠরা কিছুটা হলেও চাপে। কারণ, মহুয়ার পদ চলে গেলে তাঁরাও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বেন। মহুয়া-ঘনিষ্ঠ এক ব্লক নেতার অবশ্য দাবি, ‘‘দিদিকে আপনারা চেনেন না। ঠিক সামলে নেবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy