Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Berhampore Municipality

পুর-স্বাস্থ্যকেন্দ্র কম, ছুটতে হয় মেডিক্যালে

বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। কিন্তু সেখানে কোনও রকম চিকিৎসা পরিষেবাই মেলে না।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

সামসুদ্দিন বিশ্বাস
বহরমপুর শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২০ ০২:৪১
Share: Save:

বহরমপুর পুরসভা সূত্রের খবর, শহরের ১ নম্বর থেকে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের ১, ৩, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে পৌর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে। বাকিগুলিতে কোনও স্বাস্থ্যকেন্দ্র নেই। বাকি ওয়ার্ডে কারও কোনও সমস্যা হলে তাঁকে ছুটতে হয় অনেক দূরে। অথচ এই দিকেই এক সময় ছিল শহরের পুরনো হাসপাতাল। সেই ভবনটি এখনও পড়ে রয়েছে। তার নাম, বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় ক্যাম্পাস। কিন্তু সেখানে কোনও রকম চিকিৎসা পরিষেবাই মেলে না। অন্য দিকে, পুর স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে সকাল বেলা চিকিৎসক গেলেও, বিকেলে কাউকে পাওয়া যায় না। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে জ্বর বা পেটখারাপের ওষুধই কেবল মেলে। একটু বড় কিছু হলেই জাতীয় সড়ক পার করে ছুটতে হয় মেডিক্যাল কলেজের মূল ক্যাম্পাসে।

তার সঙ্গে রয়েছে খাগড়া এলাকার যানজট। ছোট ছোট রাস্তা। তা দিয়ে অ্যাম্বুল্যান্স চালানো খুবই শক্ত। তবু অ্যাম্বুল্যান্স হুটার বাজিয়ে ছাড় পায়। কিন্তু যাঁর কাছে অ্যাম্বুল্যান্স নেই, তিনি সাধারণ গাড়িতে করে যাওয়ার সময় আরও মুশকিলে পড়েন। খাগড়া, সৈদাবাদ, কুঞ্জঘাটা এলাকার লোকজনকে এখন তাই সামান্য রোগ দেখা দিলেই সেই যানজট পেরিয়ে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে ছুটতে হয়। কখনও কখনও তাতে ঘণ্টা খানেক সময় লেগে যায়। তাই তাঁরা পুরনো হাসপাতাল চালু কিংবা এলাকায় একটি আলাদা হাসপাতাল তৈরির দাবি তুলেছেন। শহরের বাসিন্দারা জানান, এক সময় বহরমপুর পুরসভা পুরনো হাসপাতাল চালু করাতে উদ্যোগী হচ্ছে বলে জানিয়েছিল। সে জন্য রাজ্যে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল। সূত্রের খবর সে বিষয়ে রাজ্য থেকে এখনও কোনও উত্তর আসেনি।

শহর তৃণমূলের সভাপতি নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই এলাকায় হাসপাতাল করার পরিকল্পনা পুরসভার রয়েছে। পুরসভা এ বিষয়ে রাজ্যে প্রস্তাবও পাঠিয়েছে।’’ তবে মেডিক্যাল কলেজের সুপার দেবদাস সাহা পরিষ্কারই জানান, ওই পুরনো হাসপাতালটি পুরসভার হাতে ছেড়ে দেওয়ার কোনও পরিকল্পনা তাঁদের নেই। তিনি বলেন, ‘‘মেডিক্যাল কলেজে একের পর এক প্রকল্প আসবে। সেগুলোর জন্য জায়গা লাগবে। সে কারণেই ওই ভবনটি রেখে দেওয়া হয়েছে।’’ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, যেমন, এখন করোনা ভাইরাসের জন্য ১০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করতে মাতৃসদনে ব্যবস্থা করা হয়েছে। সে ভাবেই ওই গোটা জায়গাটিকে ভবিষ্যতে কাজে লাগানো হবে।

ঘাটবন্দরের বাসিন্দা দেবর্ষী চক্রবর্তী ও খাগড়ার বাসিন্দা সোমলতা ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমাদের যানজটের মধ্যে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ছুটতে হয়। আমরা কাছে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র চাই।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy