Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
Soil Erosion

নাগাড়ে বৃষ্টিতে ভয়াল ভাঙন, আতঙ্ক

রবিবার সন্ধ্যা থেকে নদী পাড়ের বেশ কিছু অংশ জলে তলিয়ে গিয়েছে। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বেশ কিছু গাছও।

নদীপাড়ের ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কল্যাণী ব্লকের সরাটি গ্রামে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

নদীপাড়ের ভাঙনে আতঙ্কিত স্থানীয় গ্রামবাসীরা। কল্যাণী ব্লকের সরাটি গ্রামে। সোমবার। নিজস্ব চিত্র

সম্রাট চন্দ ও সৌমিত্র সিকদার
শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৫:৫৬
Share: Save:

টানা বৃষ্টিতে প্রবল হয়েছে নদীভাঙনের ভয়। ভাঙনের কবলে পড়েছে শান্তিপুর ব্লকের বিহারিয়া এলাকা।

রবিবার সন্ধ্যা থেকে নদী পাড়ের বেশ কিছু অংশ জলে তলিয়ে গিয়েছে। নদীগর্ভে চলে গিয়েছে বেশ কিছু গাছও। আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন এলাকার বাসিন্দারা।

শান্তিপুর ব্লকের বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের বিহারিয়া এলাকায় ভাগীরথীর ভাঙনের সমস্যা দীর্ঘদিনের। গত বছরেই এই এলাকায় ভাঙনের জেরে তলিয়ে যায় মন্দির, ইটভাটার চিমনি। নদীপাড়ের কাছেই রয়েছে জনবসতি। নদী যে ভাবে এগিয়ে আসছে তাতে ভিটেছাড়া হওয়ার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন বাসিন্দারা। স্থায়ীভাবে ভাঙন প্রতিরোধের ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলেছেন গ্রামবাসীরা।

গত বছরেই এই দাবিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। মাসকয়েক আগে এই এলাকায় ঘুরে যান জেলাশাসক, জেলা সভাধিপতি, রানাঘাটের মহকুমা শাসক এবং সেচ দফতরের কর্তারা। ভাঙন রোধে দ্রুত কাজ করার কথা জানিয়েছিলেন জেলা কর্তারা। বিহারিয়া এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে প্রাথমিক কাজ শুরু করে সেচ দফতর। এরইমধ্যে বারকয়েক ভাঙনের ঘটনা ঘটেছে। বিহারিয়া ছাড়াও হরিপুর পঞ্চায়েতের চৌধুরীপাড়া, শান্তিপুর শহরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের চর সাড়াগড়, গয়েশপুর পঞ্চায়েতের শ্রীরামপুরের মতো এলাকা ভাঙনের কবলে পড়েছে।

রবিবার আবার ভাগীরথীতে শুরু হয়েছে ভয়াল ভাঙন। স্থানীয় বেলগড়িয়া ২ পঞ্চায়েতের উপপ্রধান বিপ্লব প্রামানিক বলেন, “বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আনা হয়েছে। সেখানে সেচ দফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে।” সেচ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে নদীতে জলস্তর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিহারিয়া এলাকায় ভাঙন রোধে কাজ হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপরে নজর রাখা হচ্ছে।

কল্যাণী ব্লকের সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বিভন্ন গ্রামে ভাগীরথী নদীর পাড় বরাবর ভাঙন চলছে। একাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি বাড়ি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এলাকার মানুষ ভাঙন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করেছেন। আন্দোলনের প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে তাঁরা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষের সই সংগ্রহ করছেন। গত দু’-বছরে এখানে ২৫টির মতো বাড়ি ভাগীরথীতে তলিয়ে গিয়েছে। পরিবারগুলো বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তাদের পুনর্বাসনের ও ক্ষতিপূরণের দাবি উঠেছে।

গত কয়েক দিন থেকে ওই ব্লকের সরাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের হেমনগর, উত্তর সরাটি এবং রায়ডাঙ্গা এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। বিঘার পর বিঘা জমি ভাঙনের কবলে চলে যাচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, “দূরে দাঁড়িয়ে চাষের জমি নদীতে মিশে যাওয়া দেখছি। কিন্তু কিছুই করতে পারছি না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Soil Erosion Kalyani
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy