অরিজিত চান জিয়াগঞ্জে একটি মেডিক্যাল কলেজ গড়তে। তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র।
জঙ্গিপুর এলাকায় একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরির ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন গায়ক অরিজিৎ সিংহ। সোমবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘির ধুমরাপাহাড়ের প্রশাসনিক সভা থেকে সে কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসপাতাল তৈরিতে তিনি সব রকম ভাবে গায়কের পাশে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন। কিন্তু কোথায় হচ্ছে এই হাসপাতাল?
মুর্শিদাবাদেরই জিয়াগঞ্জে পৈতৃক বাড়ি অরিজিতের। অভিযোগ, সেখানকার লন্ডন মিশনারি হাসপাতাল ধুঁকছে। উপযুক্ত আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং পরিকাঠামোর অভাব রয়েছে। ২০২২ সালের মে মাসে করোনায় আক্রান্ত হন অরিজিতের মা। প্রথমে তাঁকে ওই হাসপাতালেই ভর্তি করানো হয়। পরে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ এবং আরও পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।
ঘনিষ্ঠ মহলে অরিজিৎ সেই সময়েই জানিয়েছেন, মফস্সল শহর জিয়াগঞ্জে আধুনিক এবং উন্নত চিকিৎসা পরিষেবার প্রয়োজন। নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ধৃতি ফাউন্ডেশন’-এর মাধ্যমে ওই হাসপাতাল এবং মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জন্য ১০টি হাই-ফ্লো নেজাল অক্সিজেন মেশিন পাঠান অরিজিৎ। লন্ডন মিশন হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নত করে মেডিক্যাল কলেজ কিংবা জিয়াগঞ্জের কোনও একটি অংশে আধুনিক পরিকাঠামোযুক্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল গড়ার ইচ্ছা তখন থেকেই। সোমবার প্রশাসনিক সভা থেকে ওই মেডিক্যাল কলেজ তৈরিতে সমস্ত রকম সাহায্যে প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।
এর আগেও লন্ডন মিশনারি হাসপাতালটিকে ঢেলে সাজাতে জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে অরিজিতের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অনুমতি চেয়েছিল বলে সূত্রের খবর। এ নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জেলা স্বাস্থ্যকর্তাদের একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। তবে মেডিক্যাল কলেজ তৈরির অনুমোদন পাওয়া গেলে জিয়াগঞ্জেরই কোথাও অরিজিতের ইচ্ছের বাস্তবায়ন হবে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার মমতা বলেন, ‘‘জঙ্গিপুরে হাসপাতাল আছে। মুর্শিদাবাদ জেলার ছেলে অরিজিৎ খুব ভাল গান করেন। সারা বিশ্বের গর্ব। অরিজিৎ আমাকে বলেছে, ‘দিদি আমি জঙ্গিপুরে একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল করতে চাই।’’’ মমতা এ-ও বলেন, ‘‘আমি তাঁকে মুর্শিদাবাদে দাঁড়িয়ে বলছি, তুমি করো। তুমি যদি জঙ্গিপুরেও করতে চাও, যা যা সাহায্য লাগবে আমি দেব।’’
আসলে কাজের সূত্রে মুম্বইয়ে থাকলেও গায়ক অরিজিৎ সিংহের মন পড়ে থাকে জন্মভূমি মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে। এলাকার নানা উন্নতিকল্পে জড়িয়ে আছেন তিনি। ছেলেকেও ভর্তি করিয়েছেন সেখানকার একটি স্কুলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy