ব্লক অফিসের সামনে ধর্নায় চামারি সাউ। বৃহস্পতিবার। —নিজস্ব চিত্র
জমির পাট্টা পাইয়ে দেওয়ার জন্য পঞ্চায়েত প্রধান তাঁর থেকে আড়াই লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ আনলেন এক ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার এই অভিযোগ তুলে তিনি শান্তিপুর ব্লক অফিসে ধর্নায় বসেন। যদিও প্রমাণ দাবি আপাতত তৃণমূল নেতারা দায় ঝাড়ার চেষ্টা করছেন।
শান্তিপুর থানার ফুলিয়া কলোনির ওই ব্যবসায়ীর নাম চামারি সাউ। তাঁর দাবি, গত প্রায় ৪৫ বছর ধরে তিনি এই এলাকায় বাস করেন। পুরোনো ভাঙাচোরা জিনিসপত্র কেনাবেচার কারবার তাঁর। তবে যে জমিতে তিনি থাকেন ও ব্যবসা করেন তার কোনও দলিল নেই তাঁর কাছে।
চামারির অভিযোগ, তাঁকে জমির পাট্টা পাইয়ে দেওয়ার নাম করে স্থানীয় ফুলিয়া টাউনশিপ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, তৃণমূলের উৎপল বসাক কয়েক দফায় আড়াই লক্ষ টাকা নেন। কিন্তু তার পরও তিনি পাট্টা পাননি। এই অভিযোগ নিয়েই এ দিন তিনি শান্তিপুর ব্লক অফিসে ধর্নায় বসেন। সঙ্গের প্ল্যাকার্ডে আবেদন: ‘মমতাময়ী দিদি আমাকে বাঁচান’, আবার কোনও প্ল্যাকার্ডে লেখা: ‘আমার পাট্টা কই’।
পরে তৃণমূলের ব্লক নেতৃত্ব এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যেরা এসে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। চামারি দাবি করেন, বিভিন্ন জনের সামনে এবং বিভিন্ন জনের মাধ্যমে কয়েক দফায় পঞ্চায়েত প্রধানকে টাকা দিয়েছেন তিনি। তবে তিনি যাঁদের নাম করেন, তাঁরা তাঁর সামনেই সে কথা অস্বীকার করেন। পরে চামারি লিখিত ভাবে তৃণমূল নেতৃত্বকে জানান: ‘আমি পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ এনেছি তার প্রমাণ আমার কাছে নেই। দুই দিনের মধ্যে প্রমাণ দেব অন্যথায় আমার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
পরে তিনি অভিযোগ করেন, “আমার কাছ থেকে পঞ্চায়েত প্রধান টাকা নিয়েছেন। এখন তৃণমূলের কেউ স্বীকার করছে না। উল্টে ওরা আমার বাড়িও ভাঙচুরও করেছে।’’ টাকা নিয়ে পাট্টা না দেওয়ার পুলিশকেও তিনি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন। যদি রাত পর্যন্ত তার ভিত্তিতে শান্তিপুর থানা কোনও মামলা রুজু করেনি।
অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান উৎপল বসাক পাল্টা দাবি করেন, “যে জমিতে উনি থাকেন, সেখানে একটি মিল আছে। কাজেই ওখানে পাট্টা দেওয়া হচ্ছে না। টাকা নেওয়ার তো প্রশ্নই নেই। উনি মিলের জমির কিছু অংশ দখল করেছিলেন। তারা তাঁকে সরিয়ে দিয়েছে। ভাঙচুর কিছু হয়নি। এখন ভিত্তিহীন অভিযোগ আনছেন। তাই কোনও প্রমাণও দিতে পারছেন না।’’ শান্তিপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি তপন সরকার শুধু বলেন, “খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy