ফব সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই দলের পতাকা পরিবর্তন নিয়ে রাজ্য কমিটির সঙ্গে নেতাদের একাংশের মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল।
আগের দিনই ফরওয়ার্ড ব্লক চাপড়ায় তাদের দফতর ছেড়ে দিয়েছিল কংগ্রেসকে। সোমবার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর হাত থেকে পতাকা নিয়ে দলের জেলা সভাপতি-সহ চাপড়ার কর্মী-সমর্থকদের অধিকাংশ কংগ্রেসে যোগদান করলেন। অধীরের মন্তব্য, “নেতাজির ফরওয়ার্ড ব্লক গান্ধীজির কংগ্রেসের সঙ্গে মিলে গেল।”
নদিয়ার বিভিন্ন এলাকার কিছু তৃণমূল কর্মী-সমর্থকও এ দিন আনুষ্ঠানিক ভাবে কংগ্রেসে যোগ দেন। জেলা কংগ্রেস সভাপতি অসীম সাহা বলেন, “ফরওয়ার্ড ব্লক ও তৃণমূল মিলিয়ে প্রায় তিন হাজার কর্মী সমর্থক কংগ্রেসে যোগদান করেছেন।”
এ দিন চাপড়ার ভিলেজ হল ময়দানে কংগ্রেসের যোগদান সভার আয়োজন করা হয়। তার আগেই চাপড়া ব্লক অফিস সংলগ্ন এলাকায় ফরওয়ার্ড ব্লক পার্টি অফিস কংগ্রেসকে ছেড়ে দেওয়া হয়। জেলা কংগ্রেসের দাবি, এ দিন ওই এলাকার প্রায় দু’হাজার ফব নেতাকর্মী তাদের দলে যোগ দেন। তাঁদের অন্যতম নদিয়া জেলা ফরওয়ার্ড ব্লক সভাপতি মনিরুল হক।
ফব সূত্রে জানা গিয়েছে, আগেই দলের পতাকা পরিবর্তন নিয়ে রাজ্য কমিটির সঙ্গে নেতাদের একাংশের মতানৈক্য দেখা দিয়েছিল। তার জেরে ফব ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করে উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া বিধানসভার বিধায়ক আলি ইমরান রামজ ওরফে ভিক্টর। বর্তমানে তিনি প্রদেশ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক। তাঁর সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে মনিরুলের। এ দিন তিনি বলেন, “ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির সঙ্গে মতানৈক্যের জেরেই আমাদের এই সিদ্ধান্ত।” সিপিএমের চাপড়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক জাহাঙ্গির বিশ্বাস বলেন, “আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে আসন নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকের সঙ্গে আমরা আলোচনায় বসেছিলাম। কোনও সিদ্ধান্ত হওয়ার আগেই ওদের নেতাকর্মীরা কংগ্রেসে যোগ দিল।”
কিছু দিন আগে তেহট্টের শ্যামনগরে এক সভায় তেহট্ট ও নারায়ণপুর ১ পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার তৃণমূল কর্মী-সমর্থক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ছিলেন তেহট্ট পঞ্চায়েতের উপপ্রধান চায়না মণ্ডল খাঁ। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো তৃণমূল কর্মী কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন দাবি করে চায়না বলেন, “আমরা আগেই কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। এ দিন অধীর চৌধুরীর হাত ধরে আনুষ্ঠানিক যোগদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন হল।”
অধীরের দাবি, “তৃণমূল থেকে কংগ্রেসে যোগদান প্রতিদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।” তবে তৃণমূলের নদিয়া জেলা উত্তর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি কল্লোল খাঁ বলেন, “তিন হাজার লোক কংগ্রেসে যোগ দিয়েছে বলে আমার জানা নেই। যাঁরা চাপড়ায় আমাদের বিধায়ক রুকবানুর রহমানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন, তাঁদের কেউ হতে পারে। এতে দলের বিরাট কোনও ক্ষতি হবে ন???া।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy