—প্রতীকী চিত্র।
কুকুরের কামড়ে ১২ ঘণ্টায় ৭৬ জন আহত হলেন। এঁদের মধ্যে ৫৯ জনকে সুতির মহেশাইল ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়েছে। তিন জনের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাঁদের পাঠানো হয়েছে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালে। সুতির লক্ষ্মীপুর ও বাজিতপুর পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম জুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এই সারমেয়রা। এক গ্রাম থেকে তাড়া খেয়ে তারা চলে যাচ্ছে পাশের গ্রামে। কুকুরের কামড়ে এত জন আহত হওয়ায় গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত।
মদনা গ্রামের বাসিন্দা হাসিম শেখ বলেন, “এলাকায় পথকুকুরের সংখ্যা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে। এরই মধ্যে শুক্রবার থেকে চেনা কুকুরগুলি অচেনা আচরণ করতে শুরু করে। কেন কুকুরগুলি হঠাৎ এমন খেপে উঠল, তা বুঝে উঠতে পারছি না। মনে হচ্ছে, প্রচণ্ড গরমে তারা এমন আচরণ করছে। তবে এতজনকে কুকুর কামড়ানোর পরেও প্রশাসন বা বন দফতরের লোকজন গ্রামে আসেননি।’’ গ্রামবাসীদের একাংশ জানান, তিন-চারটি কুকুর মূলত এই তান্ডব চালাচ্ছে। আহতদের মধ্যে শিশু, বৃদ্ধ সকলেই রয়েছে। আসমাউল শেখ নামে এক যুবক আহতদের দেখভাল করছেন মহেশাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। শনিবার তিনি বলেন, “হাসানপুর, কাঁকড়ামারি, ছাবঘাটি, মদনা-সহ কয়েকটি গ্রামে কুকুর তান্ডব চালাতে শুরু করে শুক্রবার সকাল থেকে। এ সব গ্রামের রাস্তা দিয়ে যে-ই যাচ্ছে, তাকেই তাড়া করে কামড়াচ্ছে কুকুরগুলি। এক গ্রাম থেকে তাড়া খেয়ে কুকুর চলে যাচ্ছে পাশের গ্রামে। আক্রান্ত হচ্ছে সেখানকার গ্রামবাসীরাও। বাজার করতে যাওয়ার পথে অন্তত ১৫ জনকে কামড়েছে কুকুর। এ দিন বিকেল পর্যন্ত ৭৬ জন কুকুরের কামড়ে আহত হয়েছেন। মহেশাইল স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সামিম সম্রাট বলেন, “এ পর্যন্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আহত ৫৯ জনকে আনা হয়েছে। অনেকে হয় তো হাসপাতালে আসেননি। প্রত্যেকের ক্ষতের চিকিৎসা করা হয়েছে। জলাতঙ্ক ঠেকাতে তাঁদের প্রতিষেধক দেওয়া হবে।’’ তিনি জানান, বিডিও-সহ প্রশাসনের আধিকারিক ও প্রাণিসম্পদ বিভাগকে খবর দেওয়া হয়েছে। কুকুরগুলিকে ধরার ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে। সুতি ২
ব্লকের বিডিও হুমায়ুন চৌধুরী বলেন, “বিভিন্ন দফতরে খবর পাঠানো হয়েছে। কুকুরগুলিকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy