গ্রেফতার স্কুল শিক্ষক। প্রতীকী চিত্র।
স্ত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া ও পণের দাবিতে খুনের অভিযোগে এক স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল। বাড়ি ভীমপুর থানার বেলতলা-কলেজপাড়া এলাকায়। শুক্রবার সকালে ওই স্কুল শিক্ষককে বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তার আগে বৃহস্পতিবার সকালে ধৃতের স্ত্রী সুস্মিতা মণ্ডলকে (২৫) ঘরের ভিতরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় আড়াই বছর আগে ভীমপুর হাইস্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গে বিয়ে হয় রানাঘাটের হবিবপুর এলাকার বাসিন্দা সুস্মিতা মণ্ডলের। ওই বিয়ের সময়ে সুস্মিতার শ্বশুরবাড়ির তরফে প্রচুর টাকার সোনার গয়না, আসবাবপত্র এবং নগদ টাকা নেওয়া হয়েছিল বলে সুস্মিতার বাপের বাড়ির লোকেদের অভিযোগ। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই আরও পণের জন্য তরুণীর উপরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু হয় বলে অভিযোগ তাঁদের।
সুস্মিতার জামাইবাবু উজ্জ্বল রায়ের অভিযোগ, “বৃহস্পতিবার সকালেও আমার শালিকে মারধর করা হয়। সেটা ফোন করে বাবাকে জানায়। কিন্তু আমরা এসে পৌঁছানোর আগেই চরম সর্বনাশ হয়ে যায়।” তাঁর আরও দাবি, “মৃত্যুঞ্জয় জমি কিনবে বলে সম্প্রতি সুস্মিতার বাবার কাছে দু’লক্ষ টাকা চেয়েছিল। সেটা না দিতে পারায় অত্যাচার বেড়ে যায়। যে কারণে আত্মঘাতী হতে বাধ্য হয়েছে মেয়েটা।”
সুস্মিতার বাপের বাড়ির তরফে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা নাগাদ তিনি তাঁর বাবাকে ফোনে মারধরের কথা জানান। বিষয়টি জানার পরই বাপের বাড়ি লোক তরুণীর শ্বশুরবাড়ির উদ্দেশে রওনা হয়ে যান। পথে থাকাকালীন মৃত্যুঞ্জয়ের এক বন্ধু ফোন করে তরুণীর অসুস্থতার কথা জানান। শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে এসে তাঁরা মেয়েকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান বলে অভিযোগ।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই তরুণীর মৃতদেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তরুণীর স্বামী ওই স্কুল শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়। যদিও আরও এক অভিযুক্ত মৃত্যুঞ্জয়ের মা উর্মিলা মণ্ডল পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy