Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪
সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলা
satyajit biswas

রূপালী অভিযুক্তের নাম বলেননি: সাক্ষী

আইনজীবী জানতে চান, ঘটনার দিন হাঁসখালি থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বা অন্য কাউকে সাক্ষী কি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কে প্রথম থানায় খুনের খবর দিয়েছিল?

মৃত সত্যজিৎ বিশ্বাস।

মৃত সত্যজিৎ বিশ্বাস। — ফাইল চিত্র।

দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় 
নদিয়া শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২৩ ০৯:৫২
Share: Save:

কৃষ্ণগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক সত্যজিৎ বিশ্বাস হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার ফের সাক্ষ্য দিলেন মামলার প্রথম তদন্তকারী অফিসার তাপস ঘোষ।

বিধাননগর ময়ূখ ভবনে বিশেষ আদালতে বিচারক মনোজজ্যোতি ভট্টাচার্যের এজলাসে এ দিন শুনানি শুরুতেই অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী সুবীর দেবনাথ দাবি করেন, তদন্তকারী অফিসারের জিজ্ঞাসাবাদের সময়ে নিহতের স্ত্রী রূপালী বিশ্বাস অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও রকম অভিযোগ জানাননি। তাঁকে সাক্ষী হিসাবে আদালতে আনাও হয়নি। এই মামলার অভিযোগকারী এবং অন্যতম সাক্ষী মিলন সাহাও জিজ্ঞাসাবাদে কোনও অভিযুক্তের নাম বলেননি। ঘটনার পরে যে হাসপাতালে সত্যজিৎকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তদন্তকারী অফিসার হিসাবে সাক্ষী সেখানে সশরীরে যাননি। সব কথাই সাক্ষী স্বীকার করেন।

আইনজীবী আরও গাবি করেন, কণিকা সাহা বলে মজিদপুরের এক বাসিন্দা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন যে ঘটনার দিন ওই মাঠে তিনি সারাক্ষণ সত্যজিতের সঙ্গে ছিলেন এবং তিনিও কোনও অভিযুক্তের নাম বলেননি। সাক্ষী বিষয়টি স্বীকার করেন। প্রসঙ্গত, কণিকা সাহাকেও সাক্ষী হিসাবে আদালতে আনা হয়নি। আইনজীবী জানতে চান, ঘটনার দিন হাঁসখালি থানায় কর্তব্যরত ডিউটি অফিসার বা অন্য কাউকে সাক্ষী কি জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে কে প্রথম থানায় খুনের খবর দিয়েছিল? দলের মধ্যেই সত্যজিতের কোনও শত্রু ছিল কি না সে বিষয়ে তৃণমূলের কোন ঊর্ধ্বতন নেতাকে কি সাক্ষী জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল? দু’টি প্রশ্নের জবাবেই সাক্ষী জানান, করা হয়নি। আইনজীবী দাবি করেন, অভিযোগকারী মিলন সাহা ঘটনার কিছুই দেখেননি বলেই সাক্ষীকে কারও নাম বলতে পারেননি। পরবর্তী কালে রাজনৈতিক চাপে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে মামলা সাজানো হয়েছে। সাক্ষী দাবি করেন, এ কথা ঠিক নয়।

এ দিনের দ্বিতীয় সাক্ষী ছিলেন দেবজিৎ দাস নামে আর এক তদন্তকারী অফিসার। অভিযুক্ত পক্ষের আইনজীবী দাবি করেন, ২০১৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি ফের কণিকা সাহাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। কিন্তু তাঁর কাছেও কণিকা কারও নাম বলেননি। সাক্ষী তা স্বীকার করেন। আইনজীবী দাবি করেন, কণিকা জানিয়েছিলেন যে ঘটনার আগে ওই মাঠে তিনি সত্যজিৎ বিশ্বাসের পাশে বসেই অনুষ্ঠান দেখছিলেন। এ ছাড়াও ‘বিধানের বৌ’, ‘অসিতের বৌ’, ‘টুকু সাহার বৌ’, মল্লিকা দফাদার-সহ আরও অনেক মহিলা সেখানে ছিলেন। সাক্ষী তা স্বীকার করেন। প্রসঙ্গত, এঁদের কাউকেই সাক্ষী হিসাবে আদালতে আনা হয়নি। অভিযুক্তের আইনজীবী ফের দাবি করেন, দেবজিৎ দাসও রাজনৈতিক চাপে এবং উপরমহলের নির্দেশে অফিসে বসে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছেন। প্রকৃত তদন্ত করেননি। সাক্ষী পাল্টা দাবি করেন, এ কথা ঠিক নয়। আজ, শুক্রবার সিআইডির তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্য দেওয়ার কথা।

অন্য বিষয়গুলি:

satyajit biswas Murder Case
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy