Advertisement
E-Paper

নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক নালিশে বিব্রত শাসক দল

জলঙ্গিতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই সেই কোন্দল চরমে উঠেছে।

 বিব্রত শাসক দল।

বিব্রত শাসক দল। প্রতীকী চিত্র।

সুজাউদ্দিন বিশ্বাস

শেষ আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৩ ০৬:৫৬
Share
Save

দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে জলঙ্গি জুড়ে। আর সেই অভিযোগ তুলছেন দলেরই একাংশের নেতারা। ফলে সীমান্তের জলঙ্গি বিধানসভার শাসক দল বেশ অস্বস্তিতে আছে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে।

দলের নেতাদের একাংশ বলছেন, যে সময় রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে ঝাঁপিয়ে পড়ার কথা বলা হচ্ছে ঠিক সেই সময়ে একাংশের নেতাদের নিয়ে চরম অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে। নিচুতলার কর্মীরা দিনরাত সাধারণ মানুষের পরিষেবা দিয়ে তাঁদের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে চলছেন দলের ভালর জন্য। আর কিছু নেতা এমন কিছু করছেন, যার জন্য সাধারণ মানুষের কাছে মুখ দেখানোই দায় হয়ে পড়ছে আমাদের। সামনে নির্বাচন, এই ঘটনা থেকে বিরোধীরা সুযোগ নেওয়ার চেষ্টা করবে।

জলঙ্গিতে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল নতুন কোনও ঘটনা নয়। গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর থেকেই সেই কোন্দল চরমে উঠেছে। বিশেষ করে জলঙ্গি উত্তর অঞ্চলের সভাপতি বদলের পর থেকে সেই গন্ডগোল আরও চরমে পৌঁছেছে। প্রকাশ্য সভাতেই দেখা গিয়েছে জলঙ্গির বিধায়ক আব্দুর রাজ্জাক মণ্ডল ব্লকের সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন করেই অভিযোগ তুলেছেন নানা রকমের। যা নিয়ে সে সময় অস্বস্তিতে পড়েছিল শাসক দল।

তবে এ বার একেবারে ব্লকের সভাপতি বিষ্ণুপদ সরকারের বিরুদ্ধে পদ দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ ওঠায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের এক নেতা বলছেন, ‘‘পরিস্থিতি এতটাই জটিল যে সাধারণ মানুষের কাছে মুখ দেখানোটাই কঠিন হয়ে পড়ছে আমাদের পক্ষে।’’

যদিও জলঙ্গির তৃণমূল বিধায়ক বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি মুখ খুলতে চাইছেন না। তার দাবি, ‘‘যে অভিযোগ উঠেছে তা প্রমাণিত হলে দল ব্যবস্থা নেবে আর আমি মনে করি এটাও সাধারণ মানুষের খুব পরিচিত ব্যাপার। এর প্রভাব নির্বাচনে তেমন ভাবে পড়বে না।’’ তবে তৃণমূলের নিচুতলার কর্মীরা বলছেন দল যদি ৃকড়া ব্যবস্থা না নেয় তা হলে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব চরম ভাবে পড়বে জলঙ্গিতে। যদিও জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘সংসার বড় হলে সেখানে কিছু ছোটখাট ঝামেলা থাকে। তেমনই ভাবে আমাদের দল এখন অনেক বড় হয়েছে, ফলে কিছু সমস্যা থাকবে। নির্বাচনে এর কোনও রকমের প্রভাব থাকবে না। কারণ মানুষ আমাদের ভোট দেয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে।’’

Jalangi TMC Leaders

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}