শাশুড়ির অভিযোগ, তাঁর ঘরে ঢুকে গয়না চুরির ছক কষেছিলেন জামাই! গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিলেন দিন কয়েক আগে। শনিবার রাতে খাওয়ার পর্ব শেষ করে স্ত্রীর সঙ্গে ঘুমোতে গিয়েছিলেন এক ঘরে। কিন্তু রাত গড়াতেই বিছানা ছেড়ে চুপি চুপি দরজা খুলে বেরিয়ে পড়েন যুবক। তার পর টালির চালের টালি খুলে ঢোকেন শাশুড়ির ঘরে। কিন্তু চুরির আগেই পড়লেন ধরা। শাশুড়ির অভিযোগ, জামাই বাবাজি তাঁর গয়নার বাক্স হাতানোর ফন্দি করেছিলেন। এমনকি, তাঁকে আপত্তিকর ভাবে স্পর্শ করেছেন জামাই। এই মর্মে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন এক মহিলা। জামাইয়ের শাস্তি চেয়েছেন শাশুড়ি। অন্য দিকে, স্বামীর কাণ্ডে লজ্জিত স্ত্রী। তাঁর দাবি, তাঁকে অচৈতন্য করে মায়ের ঘরে ঢুকেছিলেন স্বামী। তিনিও চান স্বামীর সাজা হোক। রবিবার এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার খোদাবন্দপুর গ্রামে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, মাত্র এক মাস আগেই মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার অর্জুনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের খোদাবন্দপুর গ্রামে এক যুবতীর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সমীর শেখের। সমীরের নিজের বাড়িও ওই এলাকাতেই। প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, বিয়ের পর থেকে বেশির ভাগ সময় শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন বছর ২৫-এর যুবক। তবে স্ত্রীর সঙ্গে রোজকার অশান্তি হত তাঁর। তার মাঝেই ওই অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য এলাকায়। সমীরের স্ত্রী বলেন, ‘‘গভীর রাতে আমাকে অচৈতন্য করে দেয় স্বামী। পরে জানলাম মায়ের ঘরে ঢোকার চেষ্টা করে ও। ঘরের দরজা বন্ধ ছিল। তাই টালি খুলে ঘরে ঢোকে।’’
শাশুড়ির অভিযোগ, জামাইয়ের মতলব ভাল ছিল না। তাঁর কথায়, ‘‘হঠাৎ একটা শব্দে ঘুম ভেঙে যায়। চোখ খুলতেই দেখি জামাই দাঁড়িয়ে। চমকে যাই। আমার সন্দেহ, সোনার গয়নাগুলো চুরি করতেই ও আমার ঘরে ঢুকেছিল। চিৎকার করতেই পালিয়ে যায়। আমি পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।’’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আত্মীয়ের দাবি, ‘‘শাশুড়ির উপর জামাইয়ের কুনজর ছিল। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর অশান্তি হত। ঘরে ঢুকে শাশুড়িকে জড়িয়েও ধরেছিল ও। আমরা সবাই চাই, এমন লোকের যেন সাজা হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy