তখন বিজেপি-র দলীয় দফতরে চলছে জীবাণুমুক্তকরণ।
রাজনৈতিক আদর্শের দিক থেকে দুই শিবির দুই মেরুতে। কিন্তু করোনা-কালে রাম-বাম একে অপরের পাশে। গেরুয়াশিবিরের দফতর জীবাণুমুক্তকরণ করলেন লালপার্টির স্বেচ্ছাসেবকরা। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে বহরমপুরে। লাল পার্টির এই উদ্যোগের প্রশংসায় পঞ্চমুখ গেরুয়াশিবির। আর তা শুনে রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা বলছেন, ‘‘আমরা দলমত নির্বিশেষে কাজ করছি।’’
মঙ্গলবার বহরমপুর সদর হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায় জীবাণুমুক্তকরণের কাজ করছিলেন সিপিএমের রেড ভলান্টিয়ার্সের একটি দল। জীবাণুনাশক ছড়ানো হচ্ছিল শহরের পুরনো হাসপাতাল রোড এলাকার দু’ধারের দোকানগুলিতেও। ওই রাস্তাতেই রয়েছে বিজেপি-র দলীয় দফতর। সে সময় ওই দফতরেও জীবাণুনাশক ছড়ানো হয়।
বামেদের ওই স্বেচ্ছাসেবকবাহিনীর এই উদ্যোগ দেখে বিজেপি-র দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলাার সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘আমাদের এই দলীয় দফতরে বিভিন্ন জায়গা থেকে সাধারণ মানুষ আসছেন। আজ রেড ভলান্টিয়ার্সের তরফে এই এলাকায় জীবাণুনাশক ছড়ানো হল। এটা ভাল উদ্যোগ। তাঁরা দলমত নির্বিশেষে কাজ করছেন দেখে ভাল লাগছে।’’ তঁরাও সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছেন বলে দাবি করেছেন ওই বিজেপি নেতা। রেড ভলান্টিয়ার্সের সদস্য ধ্রুবজ্যোতি সাহার দাবি, ‘‘এই পরিস্থিতিতে আমরা দলমত নির্বিশেষে কাজ করে চলেছি। কোন দলের দফতর তা দেখা হচ্ছে না।’’
রাম এবং বাম শিবিরের এই ‘সৌভ্রাতৃত্ব বোধ’ দেখে কটাক্ষের সুর বহরমপুরের তৃণমূল শিবিরের একাংশের গলায়। কারও সরস মন্তব্য, ‘‘বামেরাই তো বিজেপি-র পালনকর্তা!’’ আবার ১৯৯৮ সালে সিপিএমের দলের মধ্যে ‘শুদ্ধকরণ অভিযান’-এর সঙ্গে মঙ্গলবারের ঘটনার তুলনা টেনে কারও বক্তব্য, ‘‘রাজ্য কমিটির বৈঠকের পর বামেরা সত্যিই মাঠে ময়দানে নেমেছে দেখছি!’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy