প্রতীকী চিত্র।
এক প্রৌঢ়কে থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠল পানিহাটি পুরসভার এক কোঅর্ডিনেটরের বিরুদ্ধে। রবিবার, পানিহাটির ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের তারাপুকুর রোডের ঘটনা। খড়দহ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন দেবাশিস দত্ত নামে ওই প্রৌঢ়। অভিযোগ, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কোঅর্ডিনেটর হিমাংশু দেব তাঁকে চড় মারেন।
নিকাশির পরিকাঠামো উন্নত করার দাবিতে সম্প্রতি দেবাশিসবাবু ও পানিহাটির কয়েক জন গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে মুখ্যমন্ত্রীর দফতরে চিঠি পাঠান। একটি জনস্বার্থ মামলা করার কথাও ভাবছিলেন তাঁরা। দেবাশিসবাবুর দাবি, এই কারণেই পুর কর্তৃপক্ষের রোষের মুখে পড়েন তিনি। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের রামচন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা দেবাশিসবাবু বলেন, ‘‘রবিবার ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে এক জনের বাড়িতে গিয়েছিলাম। ওই ব্যক্তির স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে করোনায়। ওঁর বাড়িতে ঢোকার সময়ে পাড়ার এক জন জানতে চান, এলাকার নিকাশি ব্যবস্থা নিয়ে আমরা যে দৌড়ঝাঁপ করছি, তা কোন পর্যায়ে রয়েছে? এর পরেই রাস্তায় উপস্থিত ওয়ার্ড কমিটির কয়েক জন আমার সঙ্গে বচসা জুড়ে দেন।’’
গায়ত্রী ভট্টাচার্য নামে এক মহিলাও দেবাশিসবাবুদের সঙ্গে সই সংগ্রহের কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন, ‘‘ঘটনাচক্রে তখন আমি সেখানেই ছিলাম। দেবাশিসদার সঙ্গে খারাপ ভাষায় কথা বলা হয়।’’ অভিযোগ, ওই বাড়ি থেকে বেরোনোর সময়ে দেবাশিসবাবুকে ঘিরে ধরেন হিমাংশুবাবু ও তাঁর লোকজন। দেবাশিসবাবুর অভিযোগ, ‘‘কোঅর্ডিনেটর আমার গালে চড় মারেন। তাঁর লোকজনকে বলেন আমার ফোন কেড়ে নিতে, যাতে আমি জমা জলের ছবি তুলতে না পারি। আমাকে বেঁধে রাখতেও বলেন উনি। কিন্তু আমি যে বাড়িতে গিয়েছিলাম, তাঁদের হস্তক্ষেপে বাড়াবাড়ি হয়নি।’’
তবে সব অভিযোগ অস্বীকার করে হিমাংশুবাবু বলেন, ‘‘এ সব কিছু জানি না। কাউকে থাপ্পড় মারিনি। অকারণ কাউকে থাপ্পড় মারতেই বা যাব কেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy