রক্ষকই হয়ে উঠেছিলেন ভক্ষক! ২০২১ সালে এক তরুণীর উপরে অ্যাসিড হামলা করেছিলেন বিএসএফ জওয়ান শংকর দাস। দীর্ঘ সাড়ে তিন বছর ধরে চলা মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে তাঁর ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে রানাঘাট মহকুমা আদালত।
নদিয়ার নাকাশিপাড়া ব্লকের বাসিন্দা শংকর। কালীনারায়ণপুরের এক তরুণীকে তিনি বেশ কয়েক বার বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে প্রত্যাখ্যাত হন। এর পরে ২০২১ সালের ২০ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর রাতে তরুণী নিজের বাড়িতে লুচি তৈরি করছিলেন। সেই সময় শংকর তাঁর বাড়িতে ঢুকে পড়ে তরুণীকে লক্ষ্য করে অ্যাসিড ছুড়ে মারেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে আক্রান্ত তরুণীকে উদ্ধার করে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করান। চিকিৎসার পরে প্রাণে বাঁচলেও তরুণীর মুখের প্রায় ৭০ শতাংশ পুড়ে যায়। পরে তরুণীর পরিবারের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শংকরকে গ্রেফতার করে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭ ধারা (খুনের চেষ্টা) অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়। তত দিনে শংকরকে বিএসএফ থেকেও বরখাস্ত করা হয়। মামলা চলতে থাকে রানাঘাট মহকুমা আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে। সাড়ে তিন বছর মামলা চলার পরে দোষী সাব্যস্ত হন ওই জওয়ান।
আরও পড়ুন:
বিচারক মনোদীপ দাশগুপ্তের পর্যবেক্ষণ, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ও ‘অনুচিত প্রস্তাবে’ সাড়া না পেয়ে শংকর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন। অপরাধীকে ১০ বছরের সশ্রম কারাবাসের সাজা শুনিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, পাঁচ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
এই প্রসঙ্গে সরকারি আইনজীবী দীপক বিশ্বাস বলেন, ‘‘অপরাধের ভয়াবহতা ও প্রমাণের ভিত্তিতে আদালত কঠোর শাস্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।’’ তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকেও এই রায়কে ‘ন্যায়বিচার’ বলে স্বাগত জানানো হয়েছে।