ফাইল ছবি
প্রশ্নটা গোড়া থেকেই উঠছিল— নদিয়ায় কিশোরীর ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার আগে পর্যন্ত পুলিশের ভূমিকা কী ছিল? এখন সিবিআই তদন্ত যত এগোচ্ছে, তত এই প্রশ্নটা আরও জরুরি হয়ে উঠছে।
গণধর্ষণের পর রক্তক্ষরণে কিশোরীর মৃত্যু ও ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়াই মৃতদেহ সৎকার হয়ে যাওয়ার চার দিন পরে চাইল্ড লাইনের হস্তক্ষেপে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা। এই গোটা সময়টা পুলিশ এবং গোয়েন্দা বিভাগ কি কিছুই জানত না? হুমকি দিয়ে মৃতার পরিবারের মুখ বন্ধ রাখার অভিযোগ থাকলেও থানায় খবর যায়নি?
সেই পঞ্চায়েত সদস্য, ধর্ষণ-খুনে ধৃত মূল অভিযুক্তের বাবা সমরেন্দু গয়ালিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মঙ্গলবার তাঁকে এবং তাঁর ঘনিষ্ঠ পীযূষ ভক্তকে রানাঘাট আদালতে হাজির করানো হলে দু’জনকেই এক দিনের জন্য জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এ দিন ইদের কারণে বিশেষ পকসো আদালত বন্ধ ছিল। তাই দু’জনকে ভারপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট ধ্রুবজ্যোতি ভট্টাচার্যের এজলাসে হাজির করানো হয়। কিন্তু আগের দিন দাখিল হওয়া জামিনের আবেদনের শুনানি হয়নি। আজ, বুধবার তাঁদের ফের আদালতে হাজির করানোর কথা রয়েছে।
সমরেন্দু বা তাঁর এক বন্ধু তথা শাগরেদ ধরা পড়লেও কিন্তু সব প্রশ্নের সমাধান হচ্ছে না। জেলা পুলিশ সূত্রের খবর, প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক জন ভিলেজ পুলিশ থাকার কথা। ঘটনাচক্রে, ওই এলাকার ভিলেজ পুলিশ গোবিন্দ ঢালি সম্পর্কে সমরেন্দু গয়ালির ভাগ্নে। চার দিন ধরে গ্রামে ফিসফাস চললেও (যার জেরে শেষমেশ চাইল্ড লাইনে ফোন যায়) তিনি কেন থানায় জানালেন না? ফোনে গোবিন্দ দাবি করেন, “আমি কিছুই জানতাম না।” বলেই তিনি ফোন কেটে দেন, আর ধরেননি।
ওই এলাকারই বাসিন্দা সিভিক ভলান্টিয়ার রাজু বিশ্বাস স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য চঞ্চল বিশ্বাসের জেঠতুতো ভাই। রাজুর বক্তব্য, “আমার থানার ডিউটি। ফিরতে রাত হয়ে যায়। কিছু জানতে পারিনি।” এ ছাড়াও ছিলেন রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থার (আইবি) সিভিক ভলান্টিয়ার প্রহ্লাদ গোলদার। ফোনে তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে যা জানানোর, জানিয়েছি। সংবাদমাধ্যমে কোনও মন্তব্য করব না।” আর ছিলেন জেলা গোয়েন্দা বিভাগের (ডিআইবি) সিভিক ভলান্টিয়ার প্রদীপ দত্ত। তিনিও কোনও কথা বলতে চাননি।
রানাঘাট পুলিশ জেলার সুপার সায়ক দাসের বদলির নির্দেশ এসে গিয়েছে। তিনি বলেন, “ঘটনাটি সিবিআই দেখছে। ফলে এখন কোনও মন্তব্য করব না।” শনিবার সমরেন্দু বলেছিলেন, “যা বলার ৩ মে বলব।” এ দিন তিনিও মন্তব্য করেননি।
(সহ প্রতিবেদন: সম্রাট চন্দ)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy