রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই। তবে ট্রান্সফর্মার বিগড়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাটে বিড়ম্বনার নজিরও কম নয়।
বর্ধমান থেকে মেদিনীপুর, দিনাজপুর থেকে মুর্শিদাবাদ— গাঁ-গঞ্জ থেকে এমন অভিযোগ নিত্য জমা পড়ছে স্থানীয় বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার অফিসে। বেলডাঙা এবং লাগোয়া এলাকা মাস কয়েক ধরেই সেই সমস্যায় হাঁসফাঁস করছে।
দুয়ারে কড়া নাড়ছে উচ্চ মাধ্যমিক। ফাগুনের রোদের তেজও মন্দ নয়। তবে, লো-ভোল্টেজের নিভু নিভু আলো আর হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া শ্যালো পাম্প নিয়ে বেলডাঙার বিড়ম্বনা কাটছে না। এ সমস্যা যে বিদ্যুতের তা নয় বোঝা গেল। কিন্তু রাজ্য জুড়ে উদ্বৃত্ত বিদ্যুতের ঢালাও প্রচার সত্ত্বেও এমন অবস্থা কেন?
বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তারা জানাচ্ছেন, এর সঙ্গে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কোনও সম্পর্ক নেই। তাঁদের দাবি, সমস্যাটা স্থানীয় এবং তা ট্রান্সফর্মার ঘিরে। জেলা বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার আঞ্চলিক কর্তা অনুপ মল্লিক বলেন, ‘‘আগের থেকে পরিষেবা উন্নত হয়েছে। ঘাটতি নেই। তবে যে অভিযোগ দিবারাত্র আসছে তার বেশির ভাগই ট্রান্সফর্মার সংক্রান্ত।’’
জেলার সব থেকে বেশি অভিযোগ জলঙ্গি, সাগরপাড়া ও নবগ্রাম ব্লকে। খোঁজ নিয়ে দফতরের কর্তারা জানতে পেরেছেন, শহর এলাকা ছাড়িয়ে গ্রাম-গঞ্জের অধিকাংশ জায়গাতেই ট্রান্সফর্মার বিকল হয়ে থাকছে। অনেক ক্ষেত্রেই যে সংখ্যক গ্রাহক ওই এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে থাকেন, ট্রান্সফর্মার সেই নিরিখে কমজোরি। তাই, বেশি ‘লোড’ নিতে না পেরে বসে যাচ্ছে সেগুলি। বিপত্তি সেই কারণেই।
ট্রান্সফর্মার বসানোর দায়িত্ব বিদ্যুৎ বণ্টণ সংস্থার হলেও বিনিময়ে গ্রাহকদের দাম মেটানোর কথা। তা-ও যে যথাযথ হচ্ছে না, এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন ওই সংস্থার কর্তারা।
জলঙ্গিতে কখনও দিনে ৩ ঘণ্টা কখনও তারও বেশি সময় বিদ্যুৎ মেলে না। তার সঙ্গে ভোল্টেজের সমস্যা রয়েছে। নবগ্রাম ব্লকের একটা বড় অংশে বোরোধানের চাষের জল দিতে সাধারণ গ্রাহকদের উপর কোপ পড়ছে। কিছুদিন আগেও দিনে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা ধরে বিদ্যুৎ থাকছে না। লো-ভোল্টেজ নিয়েও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। বেলডাঙার কালীতলা, আনন্দনগর, মানিকনগর এলাকাতেও নিয়ম করে এমন সমস্যা হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, দিনকয়েক আগে ভোরে বিদ্যুৎ চলে গিয়ে সন্ধ্যায় এসেছে। অভিযোগ রয়েছে শক্তিপুর ও বহরমপুরেও। বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার কর্তাদের দাবি, গ্রীষ্মে বিদ্যুতের জোগান ঠিক রাখতে পরিকাঠামোর উন্নতি করতেই এই দুর্ভোগ। ফলে এটাকে বিদ্যুতের ঘাটতি বা গোলযোগ বলে ধরলে ভুল হবে। সম্প্রতি আজিমগঞ্জ ও পাঁচথুপিতে দু’টি নতুন সাব স্টেশন চালু হয়েছে। আগামী চার মাসের মধ্যে ইসলামপুর ও ভরতপুরেও দু’টি সাব স্টেশন চালু হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy