প্রচার: পথে তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
শীতের আমেজ এখনও কাটেনি। বনভোজনের রেশও চলছে। রবিবার বা অন্য ছুটির দিনে চুটিয়ে চলছে চড়ুইভাতির আসর। আর সেই সুযোগটা ভোটের মুখে ছাড়তে নারাজ রাজনৈতিকদলগুলি।
বিধায়ক থেকে শুরু করে ব্লক সভাপতি, শহর সভাপতি সহ ছোট বড় মেজো সেজো নেতাদের অনেকেই বনভোজনের আয়োজন করছেন। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর থেকে শুরু করে হরিহরপাড়ার বিধায়ক নিয়ামত শেখ, জঙ্গিপুরের বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন, বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকি-সহ শাসক দলের একাধিক নেতাকে বিভিন্ন জায়গায় বনভোজনে দেখা গিয়েছে।
এর আগে মহিলা নেতৃত্বদের বাড়ি বাড়ি পাঠিয়ে জনসংযোগ করেছে শাসক দল তৃণমূল। ‘চলো গ্রামে যাই’ কর্মসূচির ব্যানারে তাঁরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনসংযোগ করেছেন। তার পরেই দিদির দূত কর্মসূচিতে বিধায়ক সাংসদ ও দলের জেলা নেতৃত্বেরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে জনসংযোগ করছেন। দলীয় নেতা-কর্মীর বাড়িতে রাত কাটাচ্ছেন। সেই সঙ্গে ক্রিকেট-সহ নানা খেলার মাধ্যমে যেমন জনসংযোগ কর্মসূচি শুরু করেছেন তাঁরা, তেমনই বনভোজনের মাধ্যমেও জনসংযোগ কর্মসূচি করছেন শাসকদলের নেতাকর্মীরা।
ভগবানগোলা-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেনকে বনভোজনে অংশ নিতে দেখা গিয়েছে। ভরতরপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে ভরতপুরের পাশাপাশি বহরমপুরের আইনজীবীদের উদ্যোগে আয়োজিত বনভোজনে যোদ দিতে দেখা গিয়েছে। রবিবারই বহরমপুরের একটি বনভোজনে দেখা গিয়েছে হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত, ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সামসুজ্জোহা বিশ্বাস, বহরমপুর পূর্ব ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আইজুদ্দিন মণ্ডল-সহ অনেক নেতৃত্বকে।
এর আগে বেলডাঙা ২ ব্লকে বনভোজন করতে দেখা গিয়েছে মহিলা তৃণমূল কর্মীদের। সেখানে উৎসাহ দিতে হাজির হয়েছিলেন বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা জেলা পরিষদের কৃষি দফতরের কর্মাধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম। বহরমপুর শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে শাসক দলের তরফে বনভোজন করা হয়েছে।
সে সব এলাকায় বহু মানুষ সেই বনভোজনে অংশ নিয়েছিলেন।বিধায়ক হুমায়ুন বলেন, ‘‘আমি মনে করি খেলা, বনভোজনের সহ নানা সামাজিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জনসংযোগ হয়, সম্পর্ক দৃঢ় হয়। তাই আমি নিজের উদ্যোগে যেমন দু’চারটে এমন অনুষ্ঠান করি, তেমনই কর্মী সমর্থকরা বনভোজন করেন, তাঁদের ডাকে সেখানে যাই।’’
বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাহনাজ বেগম বলছেন, ‘‘অন্য উৎসব অনুষ্ঠানের মতো বনভোজনেও জনসংযোগ হয়। এখন বনভোজনের সময়। তাই দলের মহিলা সংগঠনের কর্মীরাও বিভিন্ন জায়গায় বনভোজন করছেন। তাতে বনভোজনের আনন্দ যেমন পাওয়া যায়, তেমনই সংগঠনের বিষয়েও মত বিনিময় হয়ে যায়।’’বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায় বলছেন, ‘‘আরও বেশি মানুষ যাতে বনভোজনে অংশ নিতে পারেন সে জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে আলাদা ভাবে বনভোজন করা হয়েছে। বনভোজনের মাধ্যমে কর্মীরা উৎসাহিত হন, জনসংযোগ বাড়ে।’’বহরমপুর মুর্শিদাবাদ জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রকি নিজে ৬-৭ টি জায়গায় বনভোজনে অংশ নিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy