প্রতীকী ছবি।
দাম্পত্য কলহের চরম পরিণতি! নদিয়ার চাকদহে সাত বছরের শিশুকন্যাকে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে নিজেও আত্মঘাতী হলেন পুলিশকর্মী বাবা। শুক্রবার চাকদহের বিষ্ণুপুর এলাকার ঘটনা। দুপুর ১টা নাগাদ ফেসবুকে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন ওই পুলিশকর্মী। তা দেখে সন্দেহ হতেই ঘরে ছুটে এসে দেওর আর ছোট ভাইজির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তাঁর বৌদি। এর পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
মৃত পুলিশকর্মীর নাম জয়ন্ত সর্দার। তাঁর মেয়ের নাম দিয়া। পরিবারের দাবি, স্ত্রী মৌসুমি সর্দারের সঙ্গে দীর্ঘ দিন ধরে অশান্তির কারণেই মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যা করেছেন জয়ন্ত। ফেসবুকে জয়ন্ত যে ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন, তার বিবরণীতে লেখা ছিল, ‘সরি মা।’ ভিডিয়োতে আত্মহত্যার ইঙ্গিত পেয়েই দেওরের বাড়িতে ছুটে গিয়েছিলেন তাঁর বৌদি মামণি সর্দার। পাশের বাড়িতেই থাকেন তিনি। জয়ন্ত আর দিয়াকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে মামণিই চিৎকার চেঁচামেচি করে পরিবারের বাকি সদস্যদের ডেকে আনেন। তার পরেই খবর দেওয়া হয় পুলিশে।
জয়ন্তের বয়স ৩৭। বেলঘরিয়ায় জিআরপি-র এএসআই পদে কর্মরত। তাঁর পরিবারের দাবি, মৌসুমির সন্দেহবাতিক মনোভাবের কারণে পরিবারে অশান্তি লেগেই থাকত। এ নিয়ে মানসিক অবসাদেও ভুগছিলেন জয়ন্ত। অশান্তির জেরে স্বামীর সঙ্গেও থাকতেন না মৌসুমি। এ সবের কারণে জয়ন্ত আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন বলে দাবি পরিবারের। মামণির অভিযোগ, ‘‘মৌসুমি মনে করত, জয়ন্ত পরকীয়ায় জড়িয়ে। বহু বার স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যে বদনাম দিয়েছে ও।’’
খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চাকদহ থানার পুলিশ এসে জয়ন্ত ও তাঁর মেয়ের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। পুলিশের বক্তব্য, পরিবার পক্ষ থেকে এখনও কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়নি। প্রকাশ্যে আসা ভিডিয়ো খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে পুলিশের তরফে। এ বিষয়ে মৌসুমির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy