পাচারকারি সন্দেহে ধৃত। নিজস্ব চিত্র
লকডাউনের শিথিল হওয়ার পরে ফের সক্রিয় হল জাল নোটের কারবারিরা। দু’সপ্তাহের মধ্যে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলায় পর পর সামনে এল জাল নোট পাচারের চেষ্টা। সেই চেনা পথ ধুলিয়ান ফেরিঘাট ধরেই এ দিন বৈষ্ণবনগর থেকে ৫ লক্ষ ৮১ হাজার ৫০০ টাকা নিয়ে ধুলিয়ান শহর অনায়াসেই পেরিয়ে গিয়েছিল পাচারকারি, কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। তবে পুলিশের নজর এড়িয়ে ধুলিয়ান পেরিয়ে গেলেও মোরগ্রামে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ ৫,৮১,৫০০ লক্ষ টাকা সমেত সাগরদিঘি পুলিশের হাতে বামাল ধরা পড়ে গেল সুমন শেখ নামে এক পাচারকারি। বাড়ি বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রামে। পুলিশের খাতায় জালনোটের কারবারের অন্যতম প্রধান এলাকা বলে চিহ্নিত।
দীর্ঘ ৪ মাস করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলায় জাল নোট পাচারের ঘটনা সে ভাবে সামনে আসেনি। ১৬ জুলাই সন্ধ্যেয় প্রথম এক লক্ষ টাকার জাল নোট সহ শমসেরগঞ্জ থানার হাতে ধরা পড়ে দুই পাচারকারি পাপাই ঘোষ ও দেবব্রত কৌশিক কুমার। এদের দু’জনেরই বাড়ি মালদহের মোথাবাড়ি থানার রাজনগর মডেল গ্রাম। একই পথে বৈষ্ণবনগর থেকে নৌকোয় গঙ্গা পেরিয়ে সুমনও ধুলিয়ান ফেরিঘাট দিয়ে সোজা টোটোয় চড়ে গিয়ে ওঠে ডাকবাংলো মোড়ে। বাস ধরে মোরগ্রামে গিয়ে নেমেছে ঠিক মঙ্গলবার সন্ধে নাগাদ। পুলিশের কাছে খবর ছিল মোটা অঙ্কের জাল নোট নিয়ে মোরগ্রামে আসছে এক যুবক। সেই মতোই কৌশলে নজরদারি চলছিল ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কে মোরগ্রামের পুরোনো সেতুতে।
পুলিশ জানায়, ওই যুবকের হাতে একটা বাজারের ব্যাগ ছিল। সেখানে ৫০০ টাকার নোট মেলে ২০৩টি এবং ২০০০ টাকার নোট মেলে ২৪০টি। যার হাতে ওই নোট তুলে দেওয়ার কথা ছিল, সে আসেনি সময় মতো, অথবা লোকজনের আনাগোনা দেখে আর সামনে আসেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy