উদ্ধার করা আগ্নেয়াস্ত্র। নিজস্ব চিত্র
পথ বদলেও শেষরক্ষা হল না!
মঙ্গলবার দুপুরে বছর উনিশের এক তরুণকে পাকড়াও করল ফরাক্কা পুলিশ। তার মোটরবাইকের সাইড বক্স খুলতেই মিলল সাতটি নাইনএমএম পিস্তল, ১৪টি ম্যাগাজিন ও ৪৯ রাউন্ড কার্তুজ। তবে ধৃত আলমগীর শেখের দুই সঙ্গীকে অবশ্য পুলিশ ধরতে পারেনি। ধৃত আলমগীরের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগরের চকদেওনাপুরে।
ডোমকলের কুপিলা গ্রামের লোকিম শেখ অবশ্য কারবারে এখনও তেমন দড় হয়ে ওঠেনি। বুধবার বহরমপুর থেকে বাসে উঠে সে ফিরছিল ডোমকলের দিকে। নাজিরপুরের কাছে বাসে উঠে পড়ে ইসলামপুর থানার পুলিশ। বাস থেকে লোকিমকে নামিয়ে সোজা নিয়ে যাওয়া হয় থানায়। সেখানেই তার ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় ৪টে সেভেনএমএম পিস্তল, ৮টি ম্যাগাজিন ও ১৬ রাউন্ড গুলি। ডোমকলের এসডিপিও মাকসুদ হাসান বলেন, ‘‘গোপনে খবর পেয়ে আমরা ওকে গ্রেফতার করেছি।’’
এ দিন পুলিশের কাছে খবরটা এসেছিল আগেই। কিন্তু ঘটনাটা যে ঘটবে গঙ্গার পাড়ে নিরিবিলি মেলার মাঠে সে ব্যাপারে অবশ্য নিশ্চিত ছিল না পুলিশ। ফলে, এ দিন দুপুর থেকেই পুলিশের নজরে ছিল নিউ ফরাক্কা বাসস্ট্যান্ডে। কিন্তু পুলিশের নজর এড়িয়ে জাতীয় সড়ক ছেড়ে মোটরবাইকে আলমগীর ও তার দুই সঙ্গী ঢুকে পড়ে বেনিয়াগ্রাম যাওয়ার গ্রামীণ সড়কে। বাসস্ট্যান্ড থেকে বড়জোর ৫০০ মিটার মেলার মাঠে ভরদুপুরে বাইক নিয়ে দাঁড়িয়েছিল এক তরুণ। পুলিশের নজর যায় তার দিকে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগে পুলিশ ধরে ফেলে। বাইকের বাক্সে একটি মলিন পুরোনো ব্যাগ থেকেই বেরিয়ে পড়ে পিস্তল,
ম্যাগাজিন, গুলি।
জঙ্গিপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, আলমগীর আগ্নেয়াস্ত্রগুলি নিয়ে এসেছিল বৈষ্ণবনগর থেকে। সেগুলো কেনার জন্য বীরভূমের বোলপুর থেকে এক জনের আসার কথা ছিল। জাতীয় সড়কে লোকজনের ভিড় দেখেই সম্ভবত হাতবদলের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল নিরিবিলি গঙ্গাপাড়ের ফরাক্কার মেলার মাঠকে।
তিনি বলেন, “আলমগীর পাকা কারবারি। তার পলাতক দুই সঙ্গী ও বোলপুরের ক্রেতাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy