শমসেরগঞ্জের ডাকবাংলো মোড় থেকে সুতির সাজুর মোড় পর্যন্ত গোলমালের ঘটনার তদন্তে পুলিশের তদন্তে ভরসা আমজনতার সিসি ক্যামেরা। পুলিশের খবর, ওই এলাকায় পুলিশের নিজস্ব কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তাই গোলমালের ঘটনায় অভিযুক্তদের পাকড়াও করতে ব্যবসায়ীদের বাড়ি বা দোকানে লাগানো সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ভরসা করতে হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশেষ তদন্তকারী দল শমসেরগঞ্জের মূল রাস্তার ওপরের তিরিশটির বেশি সিসি ক্যামেরার ডিভিআর বাজেয়াপ্ত করেছেন। তা দেখে অভিযুক্তদের শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ওই ছবির ভিত্তিতে প্রায় তিনশো জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এখনও মূল চক্রীদের কেন গ্রেফতার করা যায়নি, তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
পুলিশের একাংশের দাবি, এক বস্ত্র বিপণিতে ভাঙচুর, লুটের ফুটেজে একজন জনপ্রতিনিধিকে দেখা গিয়েছে। তবুও তাঁর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। তদন্তে একটি রাজনৈতিক সংগঠন-সহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নাম উঠে এসেছে। তাদের বিরুদ্ধেও পুলিশ ব্যবস্থা নেয়নি। পুলিশ সূত্রের খবর, শমসেরগঞ্জে ১১ এবং ১২ এপ্রিল হামলা, লুট, আগুন লাগানো, ভাঙচুর, খুনের মতো ঘটনায় প্রায় ১৭০টি মামলা রুজু হয়েছে। তার মধ্যে খুন-সহ খুনের চেষ্টা এবং আগুন লাগানোর মতো কয়েকটি মামলাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তদন্তকারী। তবে বাকিগুলিও গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে বলে পুলিশের দাবি।
রাজ্যের এক পদস্থ পুলিশকর্তার দাবি, ‘‘সব ঘটনাকেই আমরা গুরুত্ব দেব। কোনও অভিযুক্তকেই ছাড় দেওয়া হবে না।’’ যদিও সেই ব্যবস্থা কবে হবে, তার কোনও সদুত্তর তিনি দেননি।
নবান্ন সূত্রের খবর, শমসেরগঞ্জের ওই এলাকা-সহ রাজ্যের যেসব বড় রাস্তায় সিসি ক্যামেরার নজরদারি নেই, সেখানে ক্যামেরা বসানোর জন্য বলা হয়েছে স্থানীয় পুলিশকে। যত দ্রুত সম্ভব ওইকাজ করার জন্য বলা হয়েছে। মূলত গুরুত্বপূর্ণ জায়গা বেছে নিয়ে ওই ক্যামেরা বসাতে বলা হয়েছে। বিভিন্ন শহরের সিসি ক্যামেরা থাকলেও মফস্বল শহর গুলিতে সরকারি সিসি ক্যামেরা নেই বললেই চলে। এই বিষয়ের উপরে জোর দেওয়া হবে বলে দাবি পুলিশের।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)