Advertisement
২৮ নভেম্বর ২০২৪
Indian Railways

মৈত্রী এক্সপ্রেস আর চেকপোস্ট খোলার প্রতীক্ষা

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য গেদে চেকপোস্ট খুবই জনপ্রিয়।

—ফাইল চিত্র

—ফাইল চিত্র

সুস্মিত হালদার 
গেদে  শেষ আপডেট: ০৫ জানুয়ারি ২০২১ ০২:৪১
Share: Save:

প্রায় ন’মাস ধরে বন্ধ মৈত্রী এক্সপ্রেস। বন্ধ হয়ে আছে স্থলবন্দর বা চেকপোস্টটিও। দুই দেশের মধ্যে লোক যাতায়াতও বন্ধ। প্রয়োজন হচ্ছে না ‘মানি এক্সচেঞ্জ’ বা মুদ্রা বিনিময়ের। ফলে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত পরিবারগুলির চরম আর্থিক সঙ্কটের মধ্যে পড়েছে। তারা চাইছে, ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী এক্সপ্রেস দ্রুত চালু হোক। খুলে দেওয়া হোক চেকপোস্ট।

ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে নাগরিকদের যাতায়াতের জন্য গেদে চেকপোস্ট খুবই জনপ্রিয়। করোনার উৎপাতের আগে সাধারণ সময়ে এই চেকপোস্ট দিয়ে দিনে গড়ে প্রায় আড়াই থেকে তিন হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন। তাঁরা গেদের লাইসেন্সপ্রাপ্ত মূদ্রা বিনিময়কারীদের কাছ থেকে টাকা, ডলার ও পাউন্ড বিনিময় করেন। পাশাপাশি, মৈত্রী এক্সপ্রেসেরও প্রায় তিনশোর মতো যাত্রী গেদে থেকেই মূদ্রা বিনিময় করতেন। ভারতীয় মূদ্রায় প্রতি দিন বেশ কয়েক লক্ষ টাকা বিনিময় হত। যার থেকে জিএসটি বাবদ ভারত সরকারও মোটা টাকা আয় করত বসে মূদ্রা বিনিময়কারীদের দাবি।

প্রায় ৩৮ বছর ধরে এই কাজ করে আসছেন গেদের বাসিন্দা দীনবন্ধু মহলদার। তিনি বলছেন, “আগেও অনেক সময় সব কিছু বন্ধ থেকেছে। কিন্তু সেটা অল্প কিছু দিনের জন্য। এমন কঠিন অবস্থা আগে কোনও দিন হয় নি।” তাঁর কথায়, “আমরা পুরো সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছি। আগে যেখানে আমি দিনে গড়ে সাত লক্ষ টাকার মূদ্রা লেনদেন করতাম সেখানে এখন প্রায় ন’মাস ধরে একটা টাকাও আয় নেই। পুঁজিও প্রায় শেষ। জানি না, এর পর কী অপেক্ষা করে আছে।”

গেদেতে মূদ্রা বিনিময় করার জন্য ছ’জনের লাইসেন্স আছে। গেদে স্টেশনের পাশেই তাঁদের দোকান। এই ব্যবসার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ভাবে প্রায় দেড়শো পরিবার যুক্ত। সকলেই পড়েছে সঙ্কটে। করোনা অতিমারির কারণে গত বছর ২৩ মার্চ থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেস ও চেকপোস্ট বন্ধ হয়ে আছে। ফলে এঁরা সকলেই সেই সময় থেকে জীবিকাহীন হয়ে পড়েছেন। এঁদেরই এক জন প্রদীপ বিশ্বাস বলেন, “সংসারটা কোনও মতেই আর চালিয়ে নিয়ে যেতে পারছি না। কী ভাবে যে বেঁচে আছি, সেটা আমরাই জানি। আমরা চাই, দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক।” তাঁদের আক্ষেপ, নানা সময়ে নিজেদের অসহায়তার কথা জানিয়ে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।

কৃষ্ণগঞ্জের বিডিও কামালউদ্দিন বলেন, “ওঁদের সমস্যার কথা আমরা বুঝতে পারছি। কিন্তু বিষয়টা পুরোপুরি আন্তর্জাতিক। স্থানীয় ভাবে আমাদের কিছুই করার নেই।”

অন্য বিষয়গুলি:

Indian Railways Maitrayee Express
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy