—প্রতীকী চিত্র।
ইদুজ্জোহায় ঘরে ঘরে মাংসের নানা পদ তৈরি হয়। আর তেল মশলা ছাড়া কি মাংসের পদ তৈরি করা যায়! মাংসের নানা পদ তৈরি করতে লাগে নানা রকমের মশলা। কিন্তু তেল, মশলার দাম বাড়ায় রান্নাঘরে হাতে ছেঁকা লাগছে।
প্রবীণরা বলছেন, আগে ইদুজ্জোহার মাস খানেক আগে থেকে সেই গোটা মশলা কিনে এনে সেগুলি গুড়ো করে তৈরি করে ফেলতেন গৃহিণীরা। খাঁটি সর্ষের তেল ঘানি থেকে ভাঙিয়ে রাখতেন আগে থেকে। মিল থেকে হলুদ গুঁড়ো করে আনা হত। সেই সঙ্গে হামান দিস্তা দিয়ে শুকনো মশলা গুঁড়ো করে রাখতেন বাড়ির মহিলারা। যেগুলি ভাজার প্রয়োজন, সেগুলি ভেজে রাখা হত।
কিন্তু এখন ‘ফেলো কড়ি মাখো তেলে’র বাজারে সে সব মশলা তৈরি অবস্থায় পাওয়া যায়। এমনকি আদা-রসুন, পেয়াজের পেস্টও বাজারে কিনতে পাওয়া যাচ্ছে। তবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধির ছোঁয়া লেগেছে কোরবানির মশলার বাজারেও। শুকনো মশলা থেকে শুরু করে আদা, রসুন, পেঁয়াজ কিনতে গিয়ে গেরস্থের চোখে জল আসছে।
কয়েক মাস আগে থেকে আদার দাম আকাশছোঁয়া। এখন ইদের বাজারে আদা ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে, রসুন ১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। খুচরো বাজারে পেঁয়াজ ৩০ টাকা কেজি দামে বিক্রি হচ্ছে। শুকনো মশলার মধ্যে রয়েছে, হলুদ, গোল মরিচ, ছোট এলাচ, বড় এলাচ, জিরে, মৌরি, দারুচিনি, লঙ্কা, ধনে। লালগোলার মশলা ব্যবসায়ী ইনজামামুল হক বলছেন, ‘‘ইদের কারণে মশলার দাম বেড়েছে এমন নয়। গুজরাত বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে মশলার দাম চ়ড় চড় করে বাড়ছে।’’ তাঁর দাবি, ‘‘শুকনো মশলার একটা বড় অংশ গুজরাত থেকে আমাদের এখানে আসে। কেন সে সবের দাম বাড়ল বুঝতে পারছি না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy