—প্রতীকী চিত্র।
মঙ্গলবার ছিল মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন। সে পর্ব মিটতেই বুধবার একে একে ঘরে ফিরলেন ঘরছাড়া বিরোধী দলের প্রার্থীরা। সিপিএম, কংগ্রেসের ব্লক স্তরের নেতৃত্বের দাবি, মনোনয়নের দিন স্থির হতেই প্রথম দিকে গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতিতে মনোনয়ন জমা করেছিলেন বিরোধী দলের প্রার্থীরা। বিভিন্ন জায়গায় মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য শাসক দলের তরফে চাপ সৃষ্টি হচ্ছিল বলে অভিযোগ করছিলেন বিরোধীরা। ফলে অনেক প্রার্থী ঠাঁই নিয়েছিলেন নিজের নিজের দলীয় কার্যালয়ে। হরিহরপাড়ার ব্লক তৃণমূল সভাপতি আহাতাবুদ্দিন শেখ যদিও বলেন, ‘‘মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখানো না হুমকির অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে নিজেরা কেউ বাইরে থাকতে পারেন।’’
হরিহরপাড়ার সিপিএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক তথা প্রাক্তন বাম বিধায়ক ইনসার আলি বিশ্বাস বলেন, ‘‘শাসক দলের তরফে মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য প্রার্থীদের উপর চাপ আসতে পারে আশঙ্কায় অনেক প্রার্থীকে মনোনয়নের পরে দলীয় কার্যালয়ে রাখা হয়েছিল। তাঁরা বাড়ি ফিরেছেন।''
হুমাইপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তাজপুর গ্রামের সিপিএম প্রার্থী মনিরুল শেখ বলেন, ‘‘আমরা স্বামী স্ত্রী ভোটে দাঁড়িয়েছি। প্রথম থেকেই আমাদের উপর চাপ আসছিল। স্ত্রী, বাচ্চাদের নিয়ে ছ'দিন দলীয় কার্যালয়ে ছিলাম। আজ বাড়ি ফিরেছি।" একই কথা বলছেন মহিষমারা গ্রামের আব্দুল আলিম, প্রদীপডাঙা গ্রামের রেজাউল শেখরা। তাঁরা দু’জনেই সিপিএমের প্রার্থী। কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি হুমাইপুর, রায়পুর, বিহারিয়া, হরিহরপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩ জন প্রার্থীকে হরিহরপাড়া দলীয় কার্যালয়ে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। ব্লক কংগ্রেস সভাপতি জাহাঙ্গির শাহ বলেন, ‘‘মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন কেশাইপুর এলাকায় আমাদের এক প্রার্থীকে ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়া হয়েছে। তাই প্রার্থীদের দলীয় কার্যালয়ে রাখা হয়।’’
তৃণমূলের দাবি, নিজেদের পায়ের তলায় মাটি নেই দেখেই সিপিএম, কংগ্রেস এ রকম দোষারোপ করছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy