মরে ভেসে উঠছে মাছ। নিজস্ব চিত্র
নালার দূষিত জলে পুকুরের মাছ মরে যাওয়ার ঘটনার তদন্তে সোমবার মুর্শিদাবাদ পুরসভার কুঠিয়াপাড়ায় যান জেলা মৎস্য দফতরের এক আধিকারিক। মুর্শিদাবাদ পুরসভার এক প্রতিনিধি দলও এলাকায় যান।
গত কয়েক দিনের অতি বৃষ্টিতে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার জিয়াগঞ্জের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের নালার নোংরা-আবর্জনা মেশানো জল মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কুঠিয়াপাড়া এলাকার বেশ কয়েকটি পুকুরে পড়ে। ফলে কয়েক কুইন্ট্যাল মাছ মারা যায়। তার পরেই মৎস্য দফতর ও মুর্শিদাবাদ পুরসভা যৌথ তদন্ত শুরু করল।
জেলা মৎস্য দফতরের আধিকারিক সঞ্জয়কুমার মিশ্র জানান, জিয়াগঞ্জ পুরসভার দূষিত জল পুকুরে ঢুকে ওই মাছ মারা গিয়েছে। পচা মাছ এখনও পুকুরে রয়েছে। দূষিত জলের পাশাপাশি পচা মাছ থাকায় পুকুরের বাকি মাছ অন্যত্র সরিয়ে ফেলা না হলে মারা পড়বে। কিন্তু এখন যা অবস্থা তাতে পুকুরের জল তুলে ফেলে চুন দিয়ে শোধন করার পরিস্থিতি নেই।
তবে পরীক্ষার জন্য পুকুরের জল সংগ্রহ করেছেন দফতরের ওই আধিকারিক। তিনি বলেন, ‘‘ওই পুকুর মালিক যাতে আর্থিক ক্ষতিপূরণ পান, তার জন্য তাঁকে আবেদন করতে বলেছি।’’
মুর্শিদাবাদ পুরসভার সহকারি বাস্তুকার নীতিশ বিশ্বাস জানান, বড় একটি নালা দিয়ে বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডের নোংরা-আবর্জনা জল ফেলার বন্দোবস্ত করা হলেও তা শেষ করেনি জিয়াগঞ্জ পুরসভা। নিজেদের এলাকার বাইরে জল বয়ে নিয়ে যাওয়ার পরে নালার কাজ সম্পূর্ণ না করার ফলে ওই দূষিত জল কাপাসডাঙা পঞ্চায়েত এলাকায় পড়ছে এবং অতিবৃষ্টির ফলে ওই নোংরা জল ঢুকে তাঁদের পুরসভার কুঠিয়াপাড়াকে প্লাবিত করছে। ওই জল পুকুরে এসে পড়ছে, তেমনি কয়েকশো বিঘা জমির ফসল
নষ্ট হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান তৃণমূলের বিপ্লব চক্রবর্তী বলেন, ‘‘নালা তৈরি করে ওই দূষিত জল ফেলতে খরচ হবে প্রায় দু’কোটি টাকা। ওই কাজ করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করব।’’ জিয়াগঞ্জের পুরপ্রধান তৃণমূলের প্রসেনজিৎ ঘোষ জানান, নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর প্রকল্প পুরমন্ত্রীকে দিয়েছি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy