প্রতীকী ছবি।
রোগীর ভিড়ে থিকথিক করছে বেথুয়াডহরি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। আউটডোরের লম্বা লাইন। ওয়ার্ডে গাদাগাদি করে আছে রোগী। ভিড় করে আছেন আত্মীয়েরা। এবং করোনাকালে যেখানে পইপই করে দূরত্ব বিধি মানার কথা বলা হচ্ছে সেখানে সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্রের প্রসূতি বিভাগে দূরত্ববিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে একই বেডে ভর্তি রয়েছেন একাধিক প্রসূতি। অভিযোগ, হাসপাতালে প্রয়োজনের তুলনায় শয্যা কম থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।
আশপাশের এলাকার মানুষের ভরসা বলতে এই বেথুয়াডহরি গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্র। নাকাশিপাড়ার বিভিন্ন গ্রামের তো বটেই, সঙ্গে কালীগঞ্জের অনেক রোগীও এই হাসপাতালের উপর ভরসা করেন। প্রায় সকলেরই অভিযোগ, প্রসূতি বিভাগে শয্যার অসম্ভব আকাল। ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রসূতি বিভাগে গর্ভবতী মহিলাদের জন্য মোট শয্যা সংখ্যা ১৪ ও প্রসূতি মহিলাদের জন্য রয়েছে ৩৩টি শয্যা। চাহিদা তার তেকে অনেক বেশি। এর ফলে দূরত্ববিধি বজায় রাখা কঠিন হচ্ছে।
নাকাশিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কর্তাদের হিসেব অনুযায়ী, গত অগস্ট মাসে ৪৮৯ জন প্রসূতি ভর্তি হয়েছিলেন বেথুয়াডহরি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ৩০৭ জনের স্বাভাবিক প্রসব হয়েছে। ৬১ জনের সিজার হয়েছে। স্বাস্থ্যকেন্দ্র সূত্রের খবর, নতুন একটা ভবন তৈরি হয়ে পড়়ে রয়েছে। সেটি কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল। তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে সেটি এখনও প্রসূতিদের জন্য খোলা যাচ্ছে না। কালীগঞ্জের রাধাকান্তপুরের এক বাসিন্দা কামালউদ্দিন শেখের এক আত্মীয় ওই প্রসূতি বিভাগে ভর্তি রয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘‘একই বেডর দুই দিকে দুই মা তাঁদের সদ্যজাত শিশুদের কোলে নিয়ে বসে আছেন। গোটা ওয়ার্ডে দূরত্ববিধি বলে কিছু নেই। অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ।’’
নাকাশিপাড়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকল্যাণ রায় বলেন, ‘‘বেডের সমস্যার জন্যই যাবতীয় অসুবিধা। তার সঙ্গে নার্স ও গ্রুপ ডি স্টাফেরও সমস্যা রয়েছে। জেলায় বিষয়টি জানানো আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy