প্রতীকী ছবি।
সভার দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে চাপা অসন্তোষ ছিলই। অসন্তোষের মূল কারণ, ভরতপুর-১ ব্লকে সভার আয়োজন করা হলেও আয়োজক হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছিল শুভেন্দু-ঘনিষ্ঠ ভরতপুর ২ নম্বর ব্লকের নেতাদের। তা নিয়ে বিবাদের প্রশ্ন নেই বলে সরকারি ভাবে বার্তা দেওয়া হলেও দুই ব্লকের নেতাদের মধ্যে যে চাপা রেষারেষি শুরু হয়ে গিয়েছিল, ভরতপুর ১ ব্লক নেতাদের কথায় তা ধরা পড়েছিল। এ বার ভরতপুর বিধানসভা এলাকার দলীয় ‘পর্যবেক্ষক’-এর দায়িত্ব পেলেন ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার। তা নিয়ে ফের ‘কোন্দল’ শুরু হয়েছে দলের অন্দরে।
দিন কয়েক আগে, প্রশ্নবানে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে কোণঠাসা করতেই বিধানসভায় বড়ঞার কংগ্রেস বিধায়ক প্রতিমা রজককে ক্ষমা চাইতে হবে দাবি করেছিলেন শুভেন্দু। সেখানেই অবশ্য থামেননি, কটাক্ষ ছিল— ‘মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস সাফ হয়েছে। পরের বিধানসভা ভোটে বাকি যারা আছে সকলেই তৃণমূলে আসবে।’ তারই প্রতিবাদ করে পরিবহণমন্ত্রীর দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ চট্টোপাধ্যায়। বিবাদের সূত্রপাত সেখানেই। তার জেরেই কমলেশের বাড়ির দুশো মিটারের মধ্যে শনিবার ভরতপুর-১ ব্লকের আলিয়া হাইস্কুলের মাঠে সভা করেন শুভেন্দু, ওই সভার দায়িত্বে ছিলেন ভরতপুর-২ ব্লকের নেতাদের।
ওই সভা থেকেই শুভেন্দু ঘোষণা করেন, “এখন থেকে ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের দলের সমস্ত সাংগঠনিক কর্মসূচি পালন করবেন সিজার। তিনি ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের নেতৃত্ব দেবেন।” তার পরে দলের অন্দরে নতুন করে কোন্দল মাথাচাড়া দিয়েছে শুধু নয়, ভরতপুর-১ ব্লক তৃণমূলের নেতা ও কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়েন বলে দলীয় সূত্রের খবর। সভা শেষে ভরতপুর-১ ব্লকের নেতা-কর্মীদের নিজেদের মধ্যে ফিসফাস করতেও শোনা গিয়েছে—‘একটা সভার দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি মেনে নিলেও সারা বছর অন্য ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশ মেনে নেবেন না তাঁরা। ভরতপুর-১ ব্লকের সভাপতি নূর আলম মুখে অবশ্য বলছেন, ‘‘এখন শুভেন্দুদা যে নির্দেশ দিয়েছেন আমরা সেই মতই সংগঠনের কাজ করব। আমাদের মধ্যে কোনও কোন্দল নেই।’’ এখন দায়িত্ব পেয়ে সভা সফল করার জন্য সিজারকে বিধানসভা কেন্দ্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এ দিকে বাড়তি দায়িত্ব পেয়ে খুশি ভরতপুর ২ ব্লক তৃণমূলের সভাপতি মহম্মদ আজাহারউদ্দিন সিজার। বলছেন, “পদ পাওয়া বড় কথা নয়, পদের সম্মান রাখাটাই এখন আমার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।’’
শাসক দলের ওই আকচাআকচি নিয়ে চায়ের দোকান থেকে ভরতপুর বাজার এলাকা রবিবার সকাল থেকেই সরগরম ছিল। ভরতপুরের কংগ্রেস বিধায়ক কমলেশ বলছেন, “আমাকে সবক শেখানোর আগে পরিবহণমন্ত্রীর উচিত ছিল দলের কোন্দল মেটানো।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy