নিজস্ব চিত্র
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় বোমা বিস্ফোরণকাণ্ডের তদন্তভার হাতে পেয়ে সোমবার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এল এনআইএ-র তদন্তকারী দল। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের সঙ্গে ছিলেন বেলডাঙা থানার পুলিশ আধিকারিকেরাও। ঘটনাস্থল ঘুরে দেখার পাশাপাশি বিস্ফোরণে নিহত ইয়াসউদ্দিন ওরফে ছাদি শেখের বাড়িতেও যান তদন্তকারীরা। মৃতের স্ত্রীর বয়ান রেকর্ড করেন তাঁরা।
চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি বেলডাঙা থানার রামেশ্বরপুর গ্রামে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে মারা যান ইয়াসউদ্দিন শেখ ওরফে ছাদি নামে এক ব্যক্তি। পুলিশি তদন্তে জানা যায়, বাগানের একটি পাম্পের ঘরে বোমা বাঁধার কাজ চলছিল। সেই সময় রাত ৯টা নাগাদ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। বিস্ফোরণে উড়ে যায় ঘরের ছাদ। তদন্তে নেমে তল্লাশি চালিয়ে ওই ঘর থেকে ৭৫টি সকেট বোমা ও বোমা তৈরির প্রচুর সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ। তিন মাসের মধ্যে গ্রেফতার হন পাঁচ অভিযুক্ত। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বিস্ফোরণের ঘটনার আট মাস পর গত সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার নেয় এনআইএ। এর পর রবিবার রাতে বেলডাঙা থানায় পৌঁছয় এনআইএ-র দল।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ঘুরে যাওয়ার পর মৃতের স্ত্রী বলেন, ‘‘কী ভাবে আমার স্বামীর মৃত্যু হল, উনি কী কাজ করতেন, আমার স্বামী বোমা বাঁধত কি না, এ সব জিজ্ঞাসা করেছেন তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থল থেকে যে সব সরঞ্জাম পাওয়া গেছে, তার সঙ্গে আমার স্বামীর কোনও যোগাযোগ ছিল কি না, সব জানতে চাওয়া হয়।’’
প্রসঙ্গত, মুর্শিদাবাদের নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তও এনআইএ করছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নিমতিতা স্টেশনে এক বিস্ফোরণের ঘটনায় গুরুতর জখম হন তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিমবঙ্গের শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন-সহ বেশ কয়েকজন। রাজ্যেক আপত্তি সত্ত্বেও ওই ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে দু’জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটও দিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy