—প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘ দিন ধরেই নদী তীরবর্তী বিভিন্ন শহরের পয়ঃপ্রণালীর জল গঙ্গায় ফেলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। তাতে গঙ্গার জলে দূষণের মাত্রা বাড়ছে।এমন অবস্থা চলতে থাকলে এ বারে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলিকে পরিবেশগত ক্ষতিপূরণের শাস্তির হুঁশিয়ারি দিল জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
শহরগুলির নিকাশির অপরিশোধিত পয়ঃনিষ্কাশন গঙ্গাকে দূষিত করছে। এ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ-সহ কয়েকটি জেলাতেও নদীর দূষণ মাত্রা ছাড়িয়েছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনাল।
তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা মুর্শিদাবাদের।এই জেলায় পয়ঃনিষ্কাশন ৬৫.৫৮ মিলিয়ন্স অব লিটার পার ডে (এমএলডি)। কিন্তু শোধন ক্ষমতা মাত্র ৩.৪ এমএলডি। অর্থাৎ, দূষণের মাত্রা ৬২.১৮ এমএলডি।
সামগ্রিক ভাবে পশ্চিমবঙ্গে গঙ্গা নদীতে ২৫৮.৬৭ এমএলডি অপরিশোধিত পয়ঃনিষ্কাশন সরাসরি প্রবাহিত হচ্ছে।
জাতীয় গ্রিন ট্রাইব্যুনালের চার বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব, সিপি সুধীর আগরওয়াল, জে এম এ সেন্থিল ভেল, ইএম আফরোজ আহমেদ গত সপ্তাহে রাজ্যের ৯টি জেলার জেলাশাসকদের দাখিল করা রিপোর্ট দেখে তাঁরা রীতিমতো উদ্বেগ
প্রকাশ করেছেন।
একই সঙ্গে ফের ২ মে’র মধ্যে একটি রিপোর্ট তলব করেছেন তাঁরা। জেলাশাসকদের কাছ থেকে এই রিপোর্ট পাওয়ার পর ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা কর্তৃপক্ষ কী ব্যবস্থা নিয়েছে, তাদেরও তা জানাতে হবে ট্রাইব্যুনালকে।
হলফনামা দিয়ে সেই রিপোর্ট প্রকাশ করে জানাতে হবে ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা থেকে প্রাপ্ত অর্থ ব্যবহারের পদ্ধতি, ব্যাপ্তি এবং রিং ফেন্ড অ্যাকাউন্টে জমাকৃত অর্থের ব্যবহারের কথাও। রিপোর্টে জেলার মধ্যে দিয়ে গঙ্গা নদীর প্লাবনভূমি অঞ্চলগুলির সীমানা নির্ধারণের জন্য নেওয়া পদক্ষেপগুলির কথাও প্রকাশ করতে হবে।
বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, রাজ্যে গঙ্গা নদীর অংশে উচ্চমাত্রায় কলিফর্ম রয়েছে যা জলকে স্নানের অনুপযুক্ত করে তোলে।
এর ফলে প্রাথমিক ভাবে জলের গুণমানের মানদণ্ড পূরণ হয় না। ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বর্জ্যের শোধন ও বিভিন্ন উৎস্য থেকে গঙ্গা নদীতে দূষণের কর্মক্ষমতা নিরীক্ষার জন্য।
বিচারপতিদের কড়া বার্তা, “আমরা কোনও জেলায় গঙ্গা নদীতে দূষণকারী পদার্থের নিষ্কাশন কমানোর কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ এখনও দেখতে পাচ্ছি না। তাই জেলাশাসকদের পরবর্তী রিপোর্টে যদি পর্যাপ্ত অগ্রগতি না দেখা যায়, তাহলে ক্ষতিপূরণ ধার্য করা ছাড়া ট্রাইব্যুনালের আর উপায় থাকবে না। আট সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাশাসক ও ন্যাশনাল মিশন ফর ক্লিন গঙ্গা কর্তৃপক্ষকে তাদের পরবর্তী রিপোর্ট দাখিল করতে হবে।” ট্রাইব্যুনালের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy